‘যত গর্জে তত বর্ষে না’- প্রবাদটি শোনেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তেমনি দুষ্কর, তেমন ক্রিকেট সমর্থক খুঁজে পাওয়া যারা একবারও মনে করেননি, এবারের বিশ্বকাপের সবথেকে ‘হাইভোল্টেজ’ ম্যাচটি ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার। তবে সেই রোমাঞ্চ উবে যেতে সময় লাগেনি। একপেশে লড়াইয়ে পাকিস্তানকে নিয়ে ‘ছেলেখেলা’ করল ভারত।
বাবর আজমদের ৭ উইকেটে হারিয়ে রোহিত শর্মারা আবার প্রমাণ দিয়েছেন, বিশ্বকাপে মুখোমুখি লড়াইয়ে তারাই কেন সেরা।
এর আগে বিশ্বকাপে ৭ দেখায় শতভাগ জয় ছিল ভারতের। সংখ্যাটা এবার ৮-এ গিয়ে ঠেকল। তবে এই সংখ্যা বা জয় দিয়ে তো আর ম্যাচের দৃশ্যপট বোঝানো যায় না।
স্কোরের দিকে তাকালে তবুও কিছুটা অনুমান করতে পারবেন। টসের সময় পাকিস্তানের সাবেক পেসার ওয়াকার ইউনুস জানিয়েছিলেন, ৩০০ রানের উইকেট। অথচ টস হেরে ৪২ ওভার ৫ বল খেলে ১৯১ রানে গুঁটিয়ে যায় পাকিস্তান। রান তাড়ায় রোহিত শর্মার ৬৩ বলে ৮৬ রানের ইনিংসে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিততে ১১৭ বল ব্যবহার করতেই হয়নি ভারতে।
টুর্নামেন্টে ৩ ম্যাচে টানা ৩ জয় স্বাগতিকদের।
নিজেরাও হ্যাটট্রিক জয়ের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল পাকিস্তান। ইনিংসের শুরুটাকেও খারাপ বলার সুযোগ নেই। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান আবদুল্লাহ শফিক ২০ রানে মোহাম্মদ সিরাজের বলে আউট হলে ৪১ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি। দ্বিতীয় উইকেটে বাবর আজমের সঙ্গে ইমামের জুটি ৩২ রানের।
এই বাঁহাতি ওপেনার আউট হন ৩৬ রানে। ৭৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে তৃতীয় উইকেটে মোহাম্মদ রিজওয়ানের সাথে বাবরের ৮২ রানের জুটি। বাবর ৫০ পূর্ণ করলে ফিরলে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় পাকিস্তানের ইনিংস।
৩৬ রানের মধ্যে শেষ ৭ উইকেট হারায় তারা। এর মধ্যে রিজওয়ান ৪৯ রান করেন। বাকি ব্যাটারদের থেকে দুই অঙ্কের দেখা পেয়েছেন কেবল হাসান আলী। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ১২ রান। শার্দুল ঠাকুর ছাড়া বাকি পাঁচ বোলার নিজেদের মধ্যে ১০ উইকেট ভাগাভাগি করে নেন। দুটি করে উইকেট নেন সবাই।
রান তাড়ায় নেমে ভালো শুরু করেছিলেন ডেঙ্গু থেকে সুস্থ হয়ে ফেরা শুভমান গিল। তবে ইনিংসটাকে বড় করতে পারেননি তিনি। ১১ বলে ১৬ করে ফেরেন শাহীন আফ্রিদির প্রথম শিকার হয়ে। তিনে নেমে বিরাট কোহলিও করেন ১৬ রান। হাসান আলী আউট করেন তাকে।
তবে গতবারের মতো ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে বিশ্বকাপটা যেন নিজের নামে রাঙানোর প্রতিজ্ঞায় নেমেছেন রোহিত। আফগানিস্তানের বিপক্ষে রেকর্ড তছনছ করা শতকের পর এই ওপেনার আজও একই পথে ছুঁটছিলেন, খুব কাছে থামেন ৮৬ রানে। ১৩৬-এর ওপর স্ট্রাইকে রেটে ৬টি করে চার ও ছক্কা মারেন। রোহিতের আউটের পর ধরে খেলেন শ্রেয়াস আইয়ার ও লোকেশ রাহুল। অর্ধশতকরা করা আইয়ার করেন ৫৩ রান। লোকেশ অপরাজিত থাকেন ১৯ রানে।
খুলনা গেজেট/কেডি