শ্বাসতন্ত্রের প্রাণঘাতী রোগ করোনার দৈনিক সংক্রমণ-মৃত্যুতেতে গত দু’দিন ধরে কিছুটা নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। শনিবারের তুলনায় রোববার বিশ্বজুড়ে দৈনিক সংক্রমণ কমেছে ৩ লাখেরও বেশি, আর মৃত্যু হ্রাস পেয়েছে প্রায় ৩ হাজার।
বিশ্বজুড়ে মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে এ রোগে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হালনাগাদ তথ্য প্রদানকারী ওয়েবাসইট করোনা ভাইরাস ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্য অনুযায়ী, রোববার বিশ্বে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১২ লাখ ৭৯ হাজার ৯৭৯ জন, আর এ রোগে মারা গেছেন ৫ হাজার ২৭৮ জন।
আগের দিন শনিবার বিশ্বে করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ১৫ লাখ ৯০ হাজার ৩৯৬ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছিল ৮ হাজার ১৭৪ জনের।
অর্থাৎ, ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে বিশ্বে করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ৩ লাখ ১০ হাজার ৪১৭ জন, এবং মৃতের সংখ্যা কমেছে ২ হাজার ৮৯৬ জন।
রোববার বিশ্বের দেশসমূহের মধ্যে সংক্রমণ-মৃত্যু সবচেয়ে বেশি ঘটেছে রাশিয়ায়। ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্য অনুযায়ী, এইদিন দেশটিতে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১ লাখ ৭০ হাজার ৯৯৯ জন এবং কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ৭৪৫ জনের।
এছাড়া রোববার আরও যেসব দেশে সংক্রমণ-মৃত্যুর উচ্চহার দেখা গেছে, সে দেশসমূহ হলো— জার্মানি (নতুন আক্রান্ত ১ লাখ ৪ হাজার ১৩১ জন, মৃত্যু ৬৫ জন), দক্ষিণ কোরিয়া (নতুন আক্রান্ত ১ লাখ ৪ হাজার ১২৮ জন, মৃত্যু ৫১ জন) জাপান (নতুন আক্রান্ত ৭৭ হাজার ১৫৩ জন, মৃত্যু ২০৩ জন), তুরস্ক (নতুন আক্রান্ত ৭০ হাজার ৩৫৫ জন, মৃত্যু ২৬৩ জন), ইন্দোনেশিয়া (নতুন আক্রান্ত ৪৮ হাজার ৪৮৪ জন, মৃত্যু ১৬৩ জন) এবং মেক্সিকো (মৃত্যু ৪৭০ জন, নতুন আক্রান্ত ১৯ হাজার ৮৫৭ জন)।
এই দিন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১৮ লাখ ১৫ হাজার ৫৮৩ জন।
রোববারের পর বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ৪২ কোটি ৪৯ লাখ ৯০ হাজার ২৮৫ জন এবং এ রোগে মোট মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৯ লাখ ৬ হাজার ৯৩ জনে। এছাড়া, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের মোট সংখ্যা বর্তমানে ৩৫ কোটি ৫ লাখ ১৫ হাজার ৯০৩ জন।
বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সক্রিয় করোনা রোগী আছেন ৬ কোটি ৮৫ লাখ ৬৮ হাজার ২৮৯ জন। এই রোগীদের মধ্যে কোভিডের মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ৬ কোটি ৮৪ লাখ ৮৬ হাজার ৭৬৪ জন এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন ৮১ হাজার ৫২৫ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে।
তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।