তুরস্ক এবং সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের রেশ কাটতে না কাটতেই একদিনের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে ইন্দোনেশিয়া। শনিবার দেশটির তালাউদ দ্বীপপুঞ্জের কাছে রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, শনিবার ইন্দোনেশিয়ার তালাউদ দ্বীপপুঞ্জের কাছে শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে। এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১১ কিলোমিটার গভীরে।
ইন্দোনেশিয়ার ভূতাত্ত্বিক সংস্থা বিএমকেজি এক টুইট বার্তায় এই ভূমিকম্পের তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে শনিবারের ভূমিকম্পের কারণে সুনামির কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দেশটির পাপুয়া প্রদেশে মাঝারি মাত্রার এক ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫। সেই ভূমিকম্পে ভাসমান একটি রেস্তোরাঁ সাগরে ধসে অন্তত চারজনের প্রাণহানি ঘটে।
প্রশান্ত মহাসাগরের দেশ ইন্দোনেশিয়া ‘রিং অব ফায়ারের’ কাছে অবস্থিত। বিস্তৃত এ অঞ্চলটি অত্যন্ত ভূমিকম্পপ্রবণ। পুরো বিশ্বের মধ্যে এই অঞ্চলটির আগ্নেয়গিরিতে সবচেয়ে বেশি অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনাও ঘটে।
তুরস্ক ও সিরিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার পাঁচদিনের মধ্যে একদিনের ব্যবধানে দু’বার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭মিনিটে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও তার প্রতিবেশী দেশ সিরিয়া। ওই ভূমিকম্পের ১৫ মিনিট পর ৬ দশমিক ৭ মাত্রার আরও একটি বড় ভূমিকম্প এবং পরে শতাধিক আফটারশক হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় কাহরামানমারাশ প্রদেশের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে ভূপৃষ্ঠের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল।
কয়েক দশকের ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে দুই দেশে এখন পর্যন্ত ২৪ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন আরও হাজার হাজার মানুষ। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া হাজার হাজার মানুষকে উদ্ধারে ব্যাপক প্রচেষ্টা চললেও এখনও অনেকের কাছে পৌঁছানোই সম্ভব হয়নি।
খুলনা গেজেট/ এসজেড