বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দেয়া রায়ের সমালোচনা করে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সময়ে এ রায়টা কেনো? মূলত দেশের মানুষ যখন পরিষ্কার করে ঘোষণা দিয়েছে; এখন আর অন্য কোনো দাবি নয়, দাবি আপনার পদত্যাগ- ঠিক তখনই একদফা দাবিকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার জন্যেই তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এ রায়।
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের মানুষ ভোটের অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকারের জন্য আজ সংগ্রাম করছে। তারেক রহমান আজ শুধু একজন নেতাই না, তিনি আজ দেশের ১৮ কোটি মানুষের মুক্তির সংগ্রামের নেতা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সার্বভৌমত্বে যারা বিশ্বাস করে, তারা মনে করে জিয়াউর রহমান সার্বভৌমের পতাকা টিকিয়ে রেখেছে, সেই লক্ষ্যে এখন দায়িত্ব পালন করছেন তারেক রহমান।
আজকে শেখ হাসিনা সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, তারা পরপর দুইটি নির্বাচন করে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, এবার আর সেই সুযোগ দেয়া হবে না, এবার অবশ্যই জনগণের ভোটে নির্বাচন দিতে হবে। আজকে সব দল এক হয়েছে, সিপিবিও একই দাবি করেছে।
নেতাকর্মীরা এখনও হামলা মামলার হয়রানির শিকার হচ্ছে অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, রাতে নেতাকর্মীরা বাড়িতে থাকতে পারে না, জামিনে থাকলেও গ্রেপ্তার করছে। কারাগারে এখন ২৪ ঘন্টা লক-আপে রাখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এক ছাত্র নেতার শরীরে দেখলাম ৪৮টি গুলির চিহ্ন, তার হাতে পায়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটানো হয়েছে- এর নাম গণতন্ত্র? গত কয়েক বছরে অনেক সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে সাংবাদিকদের হয়রানি করা হচ্ছে, সাংবাদিকরা ঠিকমতো ভয়ে লিখতে পারে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করুন। দেশ ও জনগণের পক্ষে থাকুন। অন্যায় আদেশ মানবে না। নিপীড়িত জনগণের পাশে থাকুন।
বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী ডাক্তার জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে ফরমায়েশি সাজার প্রতিবাদে এবং ন্যায় বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার দাবিতে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। ডাক্তার এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক কাদের গণি চৌধুরীর পরিচালনায় সমাবেশে পেশাজীবী নেতাদের মধ্যে সাংবাদিক কামাল উদ্দিন সবুজ, সৈয়দ আবদাল আহমদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের শহীদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রোভিসি অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের অধ্যাপক লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/এনএম