নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর বলেছেন, প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত ২৪টি পৌরসভার নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। ভোটার উপস্থিতিও অনেক বেশি ছিল। একটি ‘সাকসেসফুল’ নির্বাচন হয়েছে।
সোমবার ভোট গ্রহণ শেষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মো. আলমগীর। তিনি বলেন, গণমাধ্যম ও ইসির মাঠ প্রশাসনের প্রতিবেদন অনুযায়ী ভোট ভালো হয়েছে। ভোটার উপস্থিতি অনেক বেশি, সব জায়গায় শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, কোথাও ৬০ শতাংশের কম ভোট পড়েনি। কোথাও ৬০ শতাংশ, কোথাও ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ভোট পড়েছে।
নির্বাচন চলাকালে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ও পঞ্চগড়ের সহিংস ঘটনা প্রসঙ্গে মো. আলমগীর বলেন, পঞ্চগড়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার গাড়ি যাওয়ার জন্য পুলিশ রাস্তা থেকে লোকজনকে সরতে বলায় হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ভাঙচুর হয়। এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর সীতাকুণ্ডে দুষ্কৃতকারীরা ইভিএম কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তারা সফল হতে পারেনি। টানাটানিতে ইভিএমের মনিটরটি পড়ে ভেঙে যায়। পরে ইভিএম পুনঃস্থাপন করে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটে কোনো সমস্যা হয়নি। এই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ধামরাই পৌরসভা নির্বাচনের সময় গণমাধ্যমকর্মীর ওপর হামলা ও মুঠোফোন কেড়ে নেওয়ার বিষয়ে মো. আলমগীর বলেন, এ ধরনের কোনো অভিযোগ তাঁদের কাছে এখনো আসেনি। এ বিষয়ে তাঁরা খবর নেবেন। প্রতিবেদন পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইসি সচিব জানান, প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে খুলনার দাকোপ উপজেলার চালনা পৌরসভা নির্বাচনের মেয়র পদের ফলাফল স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চালনা পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট বিকেল সোয়া চারটায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করে প্রার্থীর মৃত্যুর খবর জানান। ভোট গ্রহণ চলাকালে বেলা ৩টা ৩২ মিনিটে তিনি মারা গেছেন বলে ওই আবেদনে জানানো হয়।
মৃত্যুসনদে উল্লেখ করা হয়েছে তিনি ৩টা ৫০ মিনিটে মারা গেছেন। পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পাওয়ার পর নির্বাচন কমিশন বসে এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। তবে আইনি বিধান অনুযায়ী এ ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে ওই পদে পুনরায় নির্বাচন হয়। অবশ্য এ ক্ষেত্রে আইনে ভোট গ্রহণের আগে মৃত্যুর কথা বলা আছে।
খুলনা গেজেট/এনএম