‘মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভূবনে’ – এটা মানুষের চিরায়ত আকাঙ্ক্ষা। সবাই বেঁচে থাকতে চায় দীর্ঘকাল ধরে। অমরত্বের জন্য সেই অতীত থেকে মানুষ নানা প্রচেষ্টা করে চলেছেন। খুঁজেছেন এমন কোনো জাদুকরি ব্যবস্থা, যা মানুষকে এনে দিতে পারবে অমরত্বের স্বাদ। কিন্তু সেই কাঙ্খিত স্বপ্ন অধরা থাকলেও থেমে থাকেনি মানুষের দীর্ঘায়ু সন্ধানে বিস্তর সন্ধান। শরীরের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি ও যৌবনদৃপ্ত চেহারা ধরে রাখতে দেশে দেশে মানুষের নানান চেষ্টা চলছে অবিরত। বিজ্ঞানীরা এবার বলছেন- মানুষ ১২০ বছর আয়ু পেতেই পারেন। এটা এখন আর অকল্পনীয় নয়।
আজকের দিনে মানুষের শত বছর আয়ু অকল্পনীয় কিছু না হলেও বিরল তো বটেই। বিরল বলেই এখনো শতবর্ষী মানুষের সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমে খবর বেরোয়। আমেরিকা ও ব্রিটেনে এখনো তাদের জনসংখ্যার মাত্র দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ মানুষ শত বছর আয়ু পায়। শতবর্ষী মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি জাপানে। তবে বাংলাদেশে এই সংখ্যা খুবই নগন্য।
আয়ু বৃদ্ধি নিয়ে বিজ্ঞানীদের চলমান প্রচেষ্টা সফল হলে মানুষের জন্য শততম জন্মদিন পালন নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হবে। এমনকি শতবর্ষ আয়ু তখন আর বিরল কিছু বলে বিবেচিত হবে না। সময়ের সাথে চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নতি এবং স্বাস্থ্যসেবার প্রসারে প্রকৃতি ও দেশভেদে মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে।
জাপানে ‘সিনিয়রস ডে’ থাকলেও আমাদের দেশে নাই; কারণ আমাদের দেশের দূষণ আর ভেজালভোগী মানুষেরা সিনিয়র হয়ে ওঠার সুযোগ খুব একটা পান না। তারপরও বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু এখন ৭২ বছরের বেশি। সঠিক খাবার, জীবনযাপন প্রণালী, ও ওষুধ-পথ্য নিশ্চিত করা গেলে মানুষের আয়ুর খাতায় নিশ্চয়ই আরও কয়েক দশক যোগ করা যাবে।
আমরা আজ তেমনি ব্যতিক্রমী একজন সুস্থ সিনিয়র মানুষের গল্প বলব, যিনি এক শতাব্দী ধরে অতি সাধারণ গ্রামীণ জনপদে পৃথিবীর আলো বাতাস জলের স্পর্শ পেয়ে চলেছেন। আজন্মকাল কৃষিজীবী এই মানুষটির ১০০ বছর বয়সেও শরীরে তেমন কোনো রোগব্যাধি বাসা বাঁধেনি। তিনি হলেন খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া ইউনিয়নের ঘোনা বড়ডাঙ্গা গ্রামের শতবর্ষী চৈতন্য কুমার বিশ্বাস। এই এলাকার সবচেয়ে বেশি বয়স্ক মানুষ বলে দাবি করছেন তার স্বজন ও এলাকাবাসী।
কয়েক প্রজন্ম প্রত্যক্ষ করা চৈতন্য বাবু বহু ঘটনার নিরব সাক্ষী। প্রান্তিক জনপদের সমাজ-সংস্কৃতির মিশ্র টানা-পোড়েন, কুসংস্কার, বর্ণবিদ্বেষ, বৃটিশ শাসনামল, জমিদারি অত্যাচার, কৃষক আন্দোলন, দেশভাগ, পাকিস্তানি দুঃশাসন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও শরণার্থী জীবনের সেই কঠিন সময়গুলো এখনও তাঁর স্মৃতির পাতায় ভেসে বেড়ায়। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ও তাদের এদেশীয় দোসরদের অত্যাচারে ভিটেমাটি ফেলে উদ্বাস্তু হয়ে, চরম উৎকন্ঠা আর অনিশ্চয়তার মধ্যে পরিবার পরিজন নিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তারপর স্বাধীন দেশের নিজ জন্মভিটায় ফিরে সংখ্যালঘুর তকমা নিয়ে কাটিয়ে দিলেন বহুকাল। দীর্ঘ জীবনে বহু ঘাত-প্রতিঘাত আর সমাজের নানা অনাচার মুখ বুঁজে সহ্য করে চলেছেন তিনি।
চৈতন্য কুমার বিশ্বাস, ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দের ১১ জুন বাংলার মধু মাসে খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানার গুটুদিয়া ইউনিয়ন (তৎকালীন ভান্ডারপাড়া ইউনিয়ন) এর ছোট্ট জনবসতি ঘোনা বড়ডাঙা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নিত্য জোয়ার ভাটায় প্লাবিত, খাল-বিল জলাভূমি বেষ্টিত তৎকালীন অজপাড়াগাঁয়ের এক বিত্তহীন কৃষক পরিবারে তাঁর বেড়ে ওঠা। বৃটিশ আমলের প্রান্তিক কৃষক শ্রীমন্ত বিশ্বাস আর রবিদাসী বিশ্বাস এর সংসারে চৈতন্য বাবুরা চার ভাইবোন ছিলেন। মাথা গোঁজার মতো একটু ভিটেবাড়ি আর সামান্য কিছু কৃষি জমিতে হালচাষই ছিলো তাদের জীবীকা নির্বাহের প্রধান উপায়।
সুঠাম দেহের অধিকারী শতবর্ষী চৈতন্য বিশ্বাস এর সাথে দেখা হলো সেদিন। কথাপ্রসঙ্গে তিনি তাঁর শৈশব স্মৃতিকে রোমন্থন করতে গিয়ে আপ্লূত হয়ে পড়েন। জীবনের পরতে পরতে নানা ঘটনার মধ্যে তিনি যেনো অনেকটা এড়িয়ে যেতে চান।
আলাপচারিতায় তিনি বলেন,- “ছোটো বেলায় আমরা আশে-পাশের সবাই মিলেমিশে থাকতাম; নিকট এলাকায় হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যি কোনো ঝামেলা হতি দেহিনি। তবে উচ্চবর্ণের লোকেরা আমাগে আলাদা চোহি দেখতো। কুলিন ব্রাহ্মণ আর জমিদারের পাইক পেয়াদারা নানান অপমান অপদস্ত করতো। তহন সেসব তেমন এট্টা বুঝতাম না।
ব্রিটিশ পিরিয়ডে জিলেরডাঙ্গায় এট্টা পাঠশালা ছিলো, সেই পাঠশালায় আমি ক্লাস টু পর্যন্ত পড়ালিখা করিছি। ছোটবেলায় খেলাধূলাও করিছি খুব। ফুটবল, হাডুডু, ভলিবল, গোল্লাছুট, সাঁতার কাটা এসব খেলিছি। এট্টু বয়স বাড়লি তহন কৃষিকাজ করতাম। মহিষির লাঙ্গল চষিছি। খাবারও খাতি পারতাম বেশ; এহনও মোটামুটি পারি। তহন খাবার-দাবারে ভেজাল ছিলো না। নদী-খাল-বিলির টাটকা মাছ, ক্ষেতের তরকারি, বাড়ির হাঁস-মুরগি এসব যথেষ্ট খাইছি। সকালে কোনোদিন পান্তাভাত, ফেনা ভাতও খাইছি। সারাজীবন যথেষ্ট পরিশ্রম করিছি, তেমন কোনো রোগব্যাধি আমার হইনি। এহন শরীরি কিছু সমস্যা হয়েছে, তবে বড়ো ধরনের কোনো অসুখ আমার নেই। সব মিলোয়ে আছি মোটামুটি, সময় কাটে যাচ্ছে কোনমতে। ”
আলাপকালে জানা যায় চৈতন্য বাবু কুড়ি বছর বয়সে পার্শ্ববর্তী ফলইমারী গ্রামের ক্ষ্যান্ত রাণী মন্ডলকে বিয়ে করেন। চার সন্তানের জনক চৈতন্য বাবু বেশ কয়েক বছর আগে স্ত্রীকে হারিয়েছেন। সন্তানদের মধ্যে কন্যা রেনুকা বিশ্বাস, একমাত্র পুত্র নির্মল বিশ্বাস ও কন্যা পরিণীতা বিশ্বাস ইতোমধ্যে প্রয়াত হয়েছেন। বর্তমানে ছোট কন্যা নমিতা বিশ্বাস ও কয়েকজন নাতিরাই তাঁর অবলম্বন বলা যায়। চৈতন্য বাবুর বিষয় সম্পত্তির পাঠ চুকেছে আগেই; এখন তাঁর আর কিছু নেই। ভিটেমাটি সহ কিছু কৃষি জমি ইতোমধ্যে মেয়ের সন্তানদের আয়ত্তে চলে গেছে। যে ভিটেয় তিনি জন্মেছিলেন, শতবর্ষ ধরে যেখানে বসত করেছেন, সে ভিটামাটি আজ হাতছাড়া। নিজ বসতভিটেয় তিনি আজ পরবাসী। এখন সেই ভিটেয় নাতির ঘরের বারান্দায় তাঁর সাময়িক বসবাস। আবার কখনো ধানিবুনিয়া গ্রামে ছোটো মেয়ের বাড়িতেও কিছুদিন তাঁর কাটাতে হয়। একমাত্র পুত্রের কথা জিজ্ঞেস করলে- বুকভরা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চান। জানা যায় – উনার একমাত্র পুত্র সন্তান নির্মল বিশ্বাস লেখাপড়া শিখে ফুলতলার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন এবং ফুলতলার দক্ষিণডিহি গ্রামে বিয়ে করে শ্বশুরালয়ে স্থায়ী হয়ে যান। এরপর পৈতৃক পরিবার থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। একমাত্র পুত্রসন্তানের অবহেলা, পুত্রবধূ ও নাতিপুতিদের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় তাঁর অন্তরে এক চাপা কষ্ট বাসা বেঁধে আছে বহুকাল। কয়েকবছর আগেই সেই সন্তান মারাও গেছেন; এখন তাদের কেউ আর এই শতবর্ষী বৃদ্ধের সাথে যোগাযোগ রাখেন না। পৈত্রিক ভিটেমাটিটুকু এক নাতি নিজের করে নিয়েছে। বছরের অনেকটা সময় সেখানেই কোনোমতে তাঁর পড়ে থাকা। এতো কিছুর পরও জীবন সংগ্রামের এই কঠিন বাস্তবতার মধ্যেই চৈতন্য কুমার বিশ্বাস পার করলেন ১০০ বছর; এই বহুমাত্রিক জীবনে শতবর্ষ অতিক্রম করাকে বিরল ঘটনা বললে নিশ্চয়ই অত্যুক্তি হবে না।
মানুষের জীবন খুবই ক্ষণস্থায়ী। তাই পৃথিবীতে ক’দিনের অতিথি হয়ে আসা মানুষের জাগতিক ও পারলৌকিক মঙ্গলের জন্য সাধ্যমতো তিনি নিজের ধর্মাচার পালন করেন। কখনো নাতির ঘরের বারান্দায়, কখনো মেয়ের বাড়িতে, কখনোবা সৎসঙ্গের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে সময় কেটে যায় তাঁর। এখনো মস্তিষ্ক স্বাভাবিক, হৃদপিণ্ড বেশ সচল, পরিপাকতন্ত্র ভালো কাজ করে, হাঁটাচলা করতে পারেন মোটামুটি। সুঠাম দেহ থাকলেও শরীরের ওজন আর বয়সের ভারসাম্য রক্ষায় হাতে একখানা লাঠি রাখেন চৈতন্য বাবু।
জন্মিলে মরিতে হবে,
অমর কে কোথা কবে,
চিরস্থির কবে নীর, হায় রে, জীবন-নদে?
অমরত্ব না পেলেও দীর্ঘদিন বেঁচে থাকা মানুষের জন্য অসম্ভব নয়। বাংলাদেশের সাধারণ গ্রামেও দু’একজন শতবর্ষী মানুষের সন্ধান পাওয়া যায়।
আমাদের গল্পের চৈতন্য বিশ্বাস তাঁর দীর্ঘজীবনে টাটকা ও পুষ্টিকর খাবার খেয়েছেন। প্রক্রিয়াজাত খাবার তিনি চোখে দেখেননি। নিজেদের চাষের জমির ধানের ঢেঁকি ছাটা চাল, ক্ষেতের সবজি, নদী-খালের তাজা মাছ, গাভীর দুধ আর খেজুরের গুড়, বিল সংলগ্ন নিজেদের এলাকায় প্রচুর ফলমূল আস্বাদ পেয়েছেন তিনি। বলা যায় এই ছিলো তাঁর খাদ্যাভ্যাস। ভেজাল কি তা আগে বোঝেননি তিনি। নানা প্রাকৃতিক খাবার খেয়েছেন বহু বছর ধরে। তবে এখন আর তেমন সম্ভব হচ্ছে না। এখন বৃদ্ধ বয়সে নিজের প্রজন্মরা যা খাওয়ান, তাতেই স্বাচ্ছন্দ্য পেতে হয় বর্ষিয়ান চৈতন্য বাবুকে।
শতবর্ষী চৈতন্য বাবুকে দেখলে যেনো কোনো এক শতবর্ষী বৃক্ষের কথা মনে পড়ে। তাঁর কুঞ্চিত ঝুলে পড়া চামড়ার ভাঁজে ভাঁজে কালশিটে দাগ আর হাতের গাঁট ও পায়ের পাতার রুক্ষ কঠিন কড়াগুলো দেখে তাকে আমার বহু বছর অযত্নে অবহেলায় ঝড়ঝাপ্টা সামলে অবিচল দাঁড়িয়ে থাকা কোনো মহীরূহের মতনই মনে হয়। মহীরূহ যেমন অনঢ় অটল স্থির দাঁড়িয়ে রয় তার বহু বছরের ঘাত প্রতিঘাত সয়ে চলা দৃঢ় কঠিন কুঞ্চিত কান্ডের বাকলে শরীর জড়িয়ে। তেমনি এই চৈতন্য বিশ্বাস এর শরীরে যেনো ছড়িয়ে থাকা বাকল দেখতে পেলাম আমি। সাদা ধপধপে চুলের কয়েকটি ধারা ঝুলে থাকে তার বিষন্নতায় ভরা মুখমন্ডল জুড়ে। চৈতন্য বাবুর পরণে সাদা ধুতি ছিলো ঠিকই কিন্তু গায়ের জামাটা তার মতোই হয়তো বড্ড বয়সী, প্রিয়জন হারা, অযত্ন অবহেলায় পড়ে থাকা এক শতবর্ষীর মলিন আচ্ছাদন মাত্র।
বসবাসের ঘর বলতে কিছুই নেই। নাতির ছাপড়া ঘরের বারান্দা নিয়েও তেমন আফসোস নেই। কৃষিকাজ করে জীবনের সিংহভাগ সময় কেটেছে তাঁর; প্রত্যন্ত গ্রামের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনাচারে শতবর্ষ পার করে দিলেন চৈতন্য দাদু। বিশেষ স্বপ্ন, বড়ো আকাঙ্ক্ষা, চাওয়া পাওয়ার খুব বেশি দোলাচল ছিলো না তাঁর। একমাত্র পুত্রসন্তানকে নিয়ে আরেকটু ভালো থাকতে চেয়েছিলেন তিনি; সেখানেই যতো হতাশা। স্বস্তি আর শান্তির দেখা মেলেনি কখনও; তারপরও আজ অবধি তিনি দিনমান উদয়-অস্ত বসে থাকেন তাঁর চিরচেনা মানুষ আর প্রকৃতির মুখ চেয়ে। তেমন কিছু বলেন না তিনি। তাঁকে কেউ দেখলে ভাববে খুব মন দিয়ে তিনি কিছু ভাবছেন। হয়তো বা অতীত কিংবা কোনো স্বজনকে নিয়ে। কার কথা খুব বেশি মনে পড়ে, এমন প্রশ্নে তিনি তাঁর স্ত্রীকে স্মরণ করেন। প্রিয়জনের কথা বলতেই তাঁর দৃষ্টির ভাঁজে খেলে যায় এক অজানা সন্মোহন।
দিনের পর দিন কাটিয়ে দিচ্ছেন প্রকৃতির বুকজুড়ে, আর তাকিয়ে রয়েছেন আকাশ আর মাটির মিলনস্থলে; যেন কোনো অদেখা সীমান্তে। চৈতন্য দাদুর চোখে মুখে তেমন কোনো ভাবান্তর নেই। হয়তো মৌনব্রত নিয়েছেন তিনি অথবা খুব গভীর মনোযোগে পরলোক গমনের জন্য প্রহর গুনছেন।
ভালো থাকুন চৈতন্য দাদু। আরও অনেকগুলো বছর এই জনজীবনের বিচিত্র রূপ অবলোকন করুন; এই কামনা করি।
লেখক ও প্রবন্ধকার – হারুন-অর-রশীদ খান; খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলা সদরের শহীদ স্মৃতি মহিলা কলেজে কর্মরত। তিনি লেখালেখি ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত আছেন।
খুলনা গেজেট/এএজে