১৯৬৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার পূর্বপুরুষ খান বাহাদুর নাসির উদ্দিন ছিলেন অবিভক্ত ভারতের একজন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টর। দাদা কবীর উদ্দিন আহমেদ খান আসাম-বেঙ্গল সিভিল সার্ভিসের ডেপুটি কালেক্টর এবং প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বাবা শফিক আহমেদ খান জাতিসংঘের একজন পরামর্শক হিসেবে কাজ করতেন।
তিনি কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মানবিক বিভাগ থেকে প্রথম বিভাগে প্রথম স্থান লাভ করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে ১৯৮৬ সালে স্নাতক (সম্মান) ও ১৯৮৭ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৯১ সালে তিনি ইনস্টিটিউট অব পার্সোনেল ম্যানেজমেন্ট থেকে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন। তিনি কমনওয়েলথ বৃত্তি নিয়ে যুক্তরাজ্যের ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৬ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরবর্তী সময়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, সোয়ানসি বিশ্ববিদ্যালয় ও এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা সম্পাদন করেন।
১৯৯২ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি ১৯৯৪ সালে সহকারী অধ্যাপক, ১৯৯৯ সালে সহযোগী অধ্যাপক ও ২০০৫ সালে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। ২০০৬ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন।
তিনি এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন-এ ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের বিশেষ অতিথি অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেন এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কুইন এলিজাবেথ হাউসে সিনিয়র কমনওয়েলথ ফেলো/সাউথ এশিয়ান ফেলো হিসেবে গবেষণা সম্পন্ন করেন।
এছাড়াও, তিনি আইইউসিএনের বাংলাদেশ কান্ট্রি অফিসে কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ (২০০৯-২০১১) হিসেবে এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) চট্টগ্রাম হিল ট্র্যাক্টস ডেভেলপমেন্ট ফ্যাসিলিটি (সিএইচটিডিএফ)-এর জ্যেষ্ঠ প্রোগ্রাম সমন্বয়কারী (২০০৪-২০০৬) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার কর্মজীবনে আরও উল্লেখযোগ্য পদগুলোর মধ্যে রয়েছে এশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির এশিয়া রিসার্চ ফেলো (১৯৯৬-১৯৯৮) এবং পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) অপারেশনস বিভাগের ব্যবস্থাপক (১৯৯০-১৯৯২) হিসেবে কাজ করা।
তিনি প্রফেসর ড. নিয়াজ আহমদ খান। ২০২৪ সালের ২৭ আগস্ট থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০তম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) উপ-উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তথ্য সূত্র : উইকিপিডিয়া।
শুধুমাত্র ক্ষুদ্র স্বার্থ ও নানা সীমাবদ্ধতার কারণে যারা প্রফেসর নিয়াজ স্যারের সমালোচনা, কটুক্তি, অসত্য বয়ান দিচ্ছেন তাদের জন্য উপরের তথ্যগুলো উপস্থাপন করলাম।
ফেসবুক ওয়াল থেকে
খুলনা গেজেট/এমএনএস