শুক্রবার একদিনেই খুলনা মহানগরীর সরকারি পাইওনিয়ার মহিলা কলেজের একই শ্রেণির দুই ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে নগরীর পশ্চিম টুটপাড়া এলাকায় ও মধ্যরাতে নিরালা আবাসিক এলাকায় এ নিজ নিজ ঘর থেকে লাশ উদ্ধারের এ ঘটনা ঘটে। বাবা মায়ের সাথে রাগ করে মেয়ে দুটি আত্মহত্যা করে থাকতে পারে বলে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা। তবে সহপাঠী হলেও ঘটনা দুটি আলাদা বলে ধারণা করছে পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট পরিবার। লাশ দুটি ময়না তদন্তের পর স্ব স্ব পরিবারের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, খুলনা নগরীর পশ্চিম টুটপাড়া কলির বস্তি এলাকায় ভাড়াটিয়া ছগির এর মেয়ে সাদিয়া (১৯) দুপুর ১টার দিকে একাই ছিলো। সাদিয়ার মা কাজ থেকে এসে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ পেয়ে অনেক ডাকাডাকি করে। পরে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে এলাকাবাসীকে নিয়ে দরজা ভাঙলে সাদিয়াকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। সাথে সাথে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এদিকে রাতে নিরালা আবাসিক এলাকায় ২১ নম্বর রোডে ডাঃ নুরুল ইসলামের বাড়ির ভাড়াটিয়া জাহিদ আহমেদ এর মেয়ে মেহজাবীন (১৯) রাতে বাবা মায়ের সাথে রাগ করে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে মেহজাবীনের মা অনেক ডাকাডাকি করে দরজা ভেঙ্গে মেয়েকে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। দ্রুত উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মেয়েটিকে মৃত ঘোষণা করে। সাদিয়া (১৯) এবং মেহজাবীন (১৯) নগরীর সরকারি পাইওয়নিয়ার মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী।
সরকারি পাইওয়নিয়ার মহিলা কলেজের শিক্ষক মোঃ রোকনুজ্জামান বলেন করোনার কারণে কলেজ বন্ধ থাকায় কোন ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে কি না তা জানা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ মহোদয়কে জানানো হবে খোজ নেয়ার জন্য।
খুলনা সদর থানার ওসি মোঃ আশরাফুল আলম বলেন দুটি ঘটনার কোন যোগসুত্র আমরা পাইনি। তারা দুজনই পরিবারের সাথে ঝগড়া করে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। তবে ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলে এ ব্যপারে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।
খুলনা গেজেট/এমবিএইচ