খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  বিচার বিভাগকে ঘুষ ও দুর্নীতিমুক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে : ড. ইউনূস
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৩৮৯
  পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকেও আমরা ভারত থেকে ফেরত চাইব : প্রধান উপদেষ্টা

এইডস লুকিয়ে বিয়ের চেষ্টা, কনের বাবাসহ বরকে আটক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

নাবালিকা মেয়ের বিয়ে রুখতে গিয়েছিলেন স্থানীয় আশাকর্মী। বিয়েতে আপত্তি জানিয়ে পাত্রের খোঁজখবর নেন তিনি। তাতেই পর্দাফাঁস! কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়ে আসে কেউটে। জানা যায়, পাত্র এইচআইভি পজিটিভ। নিজের রোগ লুকিয়ে দিব্যি বসে পড়ছিল বিয়ের পিঁড়িতে। এরপরই পুলিশ এসে সবাইকে থানায় তুলে নিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর থানার আশুতিয়া গ্রামে।

বাড়ির হতদরিদ্র অবস্থা। সংসারের কষ্ট লাঘব করতে নাবালিকা মেয়েকে চুপিচুপি বিয়ে দিয়ে দিচ্ছিলেন বাবা-মা। এতটাই গোপনে বিয়ের আয়োজন করা হচ্ছিল, যাতে কাকপক্ষীও টের না পায়। কিন্তু বিয়ের সকালে বাড়িতে তোড়জোড় শুরু হতেই ঠিক খবর চাউর হয়ে যায় গ্রামে। এরপরই নাবালিকার বিয়ে রুখতে সকাল সকাল সেখানে ছুটে আসে স্থানীয় আশাকর্মী।

কেন নাবালিকা কন্যার বিয়ে দিচ্ছেন? এই প্রশ্ন তুলে বিয়েতে আপত্তি জানান তিনি। কিন্তু পাত্রীর বাড়ির আপত্তির মুখে ফিরে আসেন। খোঁজ নেন পাত্রের। জানতে পারেন, ছেলের বাড়ি পাশেই পূর্ব রাধাপুর গ্রামে। এরপর ছেলের বিষয়ে খবর নিতে সরাসরি যোগাযোগ করেন সেই গ্রামের আশাকর্মীর সঙ্গে। তখনই আসল রহস্য বেরিয়ে আসে। জানতে পারা যায়, যুবক কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যে থাকেন। তিনি এইচআইভি পজিটিভ। এখনও স্বাস্থ্য দপ্তরের অধীনে তার চিকিৎসা চলছে। সেখানে গেলেই সব তথ্য পাওয়া যাবে।

এই খবর শোনামাত্র চোখ কপালে ওঠে ওই আশাকর্মীর। নিজের রোগ লুকিয়ে যেভাবে তিনি একজনকে বিয়ে করতে চলেছিলেন, তা বড়সড় অপরাধের সমান। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি তিনি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানান। খবর পেয়ে ভগবানপুর থানার পুলিশ আসে গ্রামে। অভিযুক্ত বর ও তার সঙ্গীদের থানায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চায়নি কন্যাপক্ষ বা পাত্রপক্ষের কেউই। এমনকি গ্রামবাসীরাও এই ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। অভিযুক্ত যুবকের পাশাপাশি ওই নাবালিকা কন্যা ও তার বাবা কালীপদ দাসকেও থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। নিজের এইচআইভির কথা লুকিয়ে যুবকের বিয়ে করতে যাওয়ার ঘটনায় জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গ্রামে।

খুলনা গেজেট/এসজেড




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!