বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটের ক্যাম্প শুরু হবে আগামী ৭ অক্টোবর। এজন্য ২৫ ক্রিকেটার ও স্থানীয় কোচিং স্টাফদের করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছে সোমবার। কিন্তু ক্যাম্পের শুরুতে থাকবেন না নতুন দায়িত্ব পাওয়া প্রধান কোচ টবি র্যাডফোর্ড। অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে তার যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। পেস বোলিং কোচ চাম্পাকা রামানায়েকও চলে আসবেন দ্রুত। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন এইচপির ম্যানেজার জামাল বাবু।
করোনা পরীক্ষার ফল পাওয়ার পর বুধবার শুরু হবে এইচপির ক্যাম্প। আপাতত ক্রিকেটাররা মিরপুরের একডেমি ভবন ও ক্রীড়া পল্লীতে আইসোলেশনে আছেন। তাদের কিছু খেলোয়াড়কে ডাকা হবে জাতীয় দলের চলমান স্কিল ক্যাম্পে, যেখানে তিন দলের একটি ওয়ানডে প্রতিযোগিতা হবে। যারা ডাক পাবেন তারা উঠবেন হোটেল সোনারগাঁওয়ে। বাকিরা একাডেমি ভবনে থেকে অনুশীলন করবেন।
ম্যানেজার জামাল বাবু বলেন, ‘আজ ২৫ ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফদের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। প্রত্যেকে আলাদা আলাদা রুমে আইসোলেশনে রয়েছেন। প্রধান কোচকে আপাতত পাচ্ছি না। দ্রুত চলে আসবেন তিনি। চাম্পাকাও চলে আসবেন। শ্রীলঙ্কা থেকে আসতে কিছুটা ঝামেলা আছে। আশা করছি দ্রুত তাকেও পাওয়া যাবে।’
অবশ্য র্যাডফোর্ড তিন দলের প্রতিযোগিতার আগেই দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এখন নিজ দেশে আছেন তিনি। ১০-১১ অক্টোবরের দিকে তার বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে। যুক্তরাজ্য থেকে উড়াল দেওয়ার তিনদিন আগে একটি করোনা পরীক্ষা করানো হয়। সেই পরীক্ষায় উতরে গেলেই বাংলাদেশে আসতে পারবেন। বাংলাদেশে আসার পর ফের তার করোনা পরীক্ষা হবে। এখানেও নেগেটিভ ফল এলে ক্রিকেটারদের সঙ্গে যোগ দিতে পারবেন র্যাডফোর্ড।
শ্রীলঙ্কা থেকে চাম্পাকা রামানায়েকের বাংলাদেশে আসতে তৈরি হয়েছে জটিলতা। দ্বীপরাষ্ট্র থেকে সীমান্ত অতিক্রম করতে হলেও কঠিন সময় পার হতে হয়। এজন্য রামানায়েকেকে উড়িয়ে আনার প্রক্রিয়া অনেক দিন আগ থেকেই শুরু হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তার পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
বিদেশি কোচদের ছাড়া ক্যাম্প শুরু করতে কোনও সমস্যা হচ্ছে না। জাতীয় দল ও এইচপি ইউনিটের দল মিলিয়ে তিন দল তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়ায় জাতীয় দলের কোচিং স্টাফরাই কাজটা করবেন। এইচপির বাকিরা কাজ করবেন স্থানীয় কোচ নিয়ে।
এইচপির কোচ হিসেবে শেষ দুই বছর কাজ করেছেন কোচ মিজানুর রহমান বাবুল, পেস বোলিং কোচ মাহবুব আলী খান জ্যাকি ও স্পিন কোচ ওয়াহিদুল গনি। বিসিবির ডেভেলাপমেন্ট বিভাগের কোচদের নিয়ে ক্যাম্প শুরুর কথা রয়েছে।
জাতীয় দলের চলমান ক্যাম্পে জৈব-সুরক্ষা বলয়ে থাকা ২৭ ক্রিকেটারের সঙ্গে এইচপি ইউনিটের ক্রিকেটারদের নিয়ে তিনটি দল তৈরি করা হবে। ডাবল লিগ পদ্ধতিতে প্রত্যেক দল পরস্পরের মুখোমুখি হবে দুইবার করে। ১১ অক্টোবর থেকে মাঠে গড়াতে পারে তিন দলের ওয়ানডে প্রতিযোগিতা।
খুলনা গেজেট/এএমআর