টিম বি-এর হয়ে ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়ালেন তানজিদ হোসেন তামিম, তৌহিদ হৃদয় ও শামীম হোসেন পাটোয়ারি। এর আগে টিম এ-এর আফিফ হোসেন ও নাঈম হোসেনও পেয়েছেন রান।
২২ গজে এইচপি ইউনিটের পাঁচ ব্যাটসম্যান পেলেন হাফ সেঞ্চুরি। তবে কেউই পারেননি ইনিংস বড় করতে। পাঁচ হাফ সেঞ্চুরির ম্যাচে টিম বি হেসেছে শেষ হাসি। ৬ উইকেটে তারা হারিয়েছে টিম এ-কে। আগে ব্যাটিং করে টিম এ ৭ উইকেটে ২৪০ রান তোলে। জবাবে ৪ উইকেট হারিয়ে ৪৭.৩ ওভারে লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে বি টিম।
মিরপুরে চলছে বিসিবি হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের ক্যাম্প। লাল বলের অনুশীলন ও ম্যাচ শেষে এখন চলছে সাদা বলের প্রস্তুতি। দুইদিন প্রস্তুতি শেষে শনিবার একটি পঞ্চাশ ওভারের ম্যাচ খেললেন এইচপির ক্রিকেটাররা।
দুই দলে ভাগ হয়ে হলো তাদের লড়াই। আলো ঝলমলে দিনে ব্যাটিংয়ে রান পেলেন ব্যাটসম্যানরা। বিশেষ করে টপ ও মিডল অর্ডার জ্বললো ভালোভাবেই। পেসারদের পারফরম্যান্স নড়বড়ে হলেও আঁটশাঁট পারফরম্যান্স করেছেন স্পিনাররা।
এ দলের হয়ে নাঈম হাসান ৬৯ বলে করেন ৬৭ রান। ৮ চার ও ১ ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস। দলীয় অধিনায়ক আফিফ হোসেন ধ্রুবর ব্যাটও হেসেছিল। ৮০ বলে বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান করেন ৫০ রান। এ দলের হয়ে ব্যাট হাতে আর কেউ ভালো করতে পারেননি। তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন রাকিবুল হাসান।
বি দলের দুই পেসার রেজাউর রহমান রাজা ও মাকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ২টি করে উইকেট নেন। লেগ স্পিনার রিশাদ ও অফ স্পিনার শামীম পাটোয়ারি নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় পারভেজ হোসেন ঈমন (৫) ও মাহমুদুল হাসান জয় (১৪) ভালো করতে পারেননি। তবে ওপেনার তামিম ও হৃদয় তৃতীয় উইকেটে দারুণ জুটি গড়ে দলকে চাপমুক্ত করেন। দুইজনই পান হাফ সেঞ্চুরির স্বাদ। তামিম ৭৪ বলে ৭৪ রান করে ফিরে গেলেও হৃদয় শেষ পর্যন্ত টিকে ছিলেন। তামিম ৯ চার ও ২ ছক্কায় সাজান তার ইনিংস।
শেষ দিকে শামীম হোসেন পাটোয়ারি ছিলেন দায়িত্বশীল। ৬৮ বলে ৬৭ রান করেন ৬ চার ও ১ ছক্কায়। দলের জয়ের দিন ভালো করতে পারেননি আকবর আলী। ২৬ বলে ৩ চারে তার ব্যাট থেকে আসে ১৯ রান।
বল হাতে একটি করে উইকেট নেন রাকিবুল, সুমন, তানবীর ও নোমান।
খুলনা গেজেট/এএমআর