শীত সকালের শিশির ভেজা নরম ঘাসে –
শৈশব কৈশোরে কতোকাল গ্রামের কর্দমাক্ত, মেঠোপথ ধরে হেঁটেছি ।
বৃষ্টিঝরা বর্ষায় সুদূর মেঘাচ্ছন্ন আকাশের নব দিগন্তে
সাত-রঙ্গা, রঙ ধনু রঙের, সুবাসিত পুষ্প উদ্যান খুঁজেছি ।
রজনী দ্বিপ্রহরে গৃহের বাতায়ন,- বাতাসের স্নিগ্ধ হাওয়ায়
– খুলে দিয়েছি ।
বুনো পথের ধারে, বটবৃক্ষ ছায়ায়-পত্র পল্লব মর্মরে-
প্রকৃতির বন্ধনে মৃত্তিকার ভালোবাসার সোহাগে
ষড়ঋতুর পরিবর্তনকে-হৃদয়ে ধারণ করেছি ।
মাটির মমতায় শীতল স্পর্শে- বর্ণাঢ্য কর্মকোলাহলে
সোনালি সুন্দর, সৎ জীবনের সুখনীড় গড়েছি ।
গীতি কবিতার ছন্দে, সিংহল গড়ের দৃশ্য, পদ্মাবতী কাব্য, পড়েছি ।
নিদ্রামগ্ন তমসাচ্ছন্ন জীবন-বিস্ময়, স্বপ্নের দোলাচলে
হৃদয়ের নিঃশ্বাস নদীর গতিপথে বিলীন তো হয়।
আকাশ প্রান্তে মেঘমালা সাঁঝে প্রজাপতির সোনালি ডানায় জীবন-সৌন্দর্য এঁকে রয় ।
বর্ষবরণে, ঋতু-বৈচিত্র্যে, আমার স্বাধীন ভাবনা
অনাবিল সুখের-স্মৃতি হয়ে জীবন যে তন্ময়।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি