খুলনা, বাংলাদেশ | ২৫ কার্তিক, ১৪৩১ | ১০ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  আ’লীগ আজ মাঠে নামতে চায়, প্রতিরোধের ঘোষণা সরকার ও ছাত্র-জনতার
  শহীদ নূর হোসেন দিবস আজ

ঋণ জালিয়াতির মামলায় সিনহার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন ভাই-ভাতিজা

গেজেট ডেস্ক

ঋণ জালিয়াতির মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ (এসকে সিনহা) ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে তার ভাই ও ভাতিজা সাক্ষ্য দিয়েছেন। সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন।

সাক্ষী দু’জন হলেন বিচারপতি এসকে সিনহার ভাই নরেন্দ্র কুমার সিনহা ও ভাতিজা শঙ্খজিৎ সিনহা। তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আগামী ১৩ জানুয়ারি পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন।

এ মামলায় ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতী কারাগারে আছেন। জামিনে আছেন ব্যাংকের সাবেক এমডি একেএম শামীম ও সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান ও একই এলাকার নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা। এছাড়া ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা রনজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায় পলাতক রয়েছেন।

আদালত সূত্র জানায়, এর আগে গত ১৩ আগস্ট এ মামলায় এসকে সিনহাসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়। ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ফারমার্স ব্যাংক থেকে ঋণের নামে ৪ কোটি টাকা পে-অর্ডারের মাধ্যমে এসকে সিনহার ব্যক্তিগত হিসাবে স্থানান্তরের অভিযোগে গত বছরের ১০ জুলাই এ মামলাটি করা হয়। মামলায় এসকে সিনহাসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে গত ৯ ডিসেম্বর দুদক পরিচালক মো. বেনজীর আহম্মদ আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলার চার্জশিটে বলা হয়, ব্যাংক থেকে ভুয়া ঋণের নামে ৪ কোটি টাকা বের করে পরে ওই অপরাধলব্ধ আয় ব্যক্তিগত হিসাব থেকে অস্বাভাবিকভাবে নগদে, চেক বা পে-অর্ডারের মাধ্যমে অন্য হিসাবে স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছে। আসামিরা ওই অর্থ নিজেদের ভোগদখল ও তার অবৈধ প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান গোপনের মাধ্যমে পাচার বা পাচারের প্রচেষ্টায় সংঘবদ্ধভাবে সম্পৃক্ত হন।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!