পুরো হোম অব ক্রিকেট জুড়েই আজ উৎসবের আমেজ। হেমন্তের মৃদু শৈত্য প্রবাহ উপেক্ষা করে সেই সকাল থেকে প্রমান সাইজের কিট ব্যাগ নিয়ে ক্রিকেটাররা মাঠে আসছেন, আর ব্যাটে-বলে শব্দে তুলছেন সুর লহরী। কোচিং স্টাফের সদস্যরাও ব্যস্ত। কেউ দূরে দাঁড়িয়ে নিবিড়ভাবে শিষ্যদের টেকনিক পর্যবেক্ষন করছেন, আবার কেউ বা টেকনিক দেখিয়ে দিচ্ছেন। বল বয়, থ্রোয়ার, টিম বয়দের ব্যস্ততাও চোখ এড়িয়ে গেল না। সবাই যেন নেটের পানে রুদ্ধশ্বাসে ছুটছেন। ঠিক এমনই এক আবহে শুরু হল বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি।
২৪ নভেম্বর থেকে অনুষ্ঠেয় ৫ দলের টি-টোয়েন্টি কাপ সামনে রেখে গতকাল অনুষ্ঠিত হয়েছে ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফসহ মোট ১২৫ জনের করোনা পরীক্ষা। দুপুর পর্যন্ত পাওয়া খবরে একমাত্র গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের মাহমুদুল হাসান জয় ছাড়া আর কোন ক্রিকেটারের করোনার খবর মিলল না। কাজেই নেগেটিভদের নিয়ে শনিবার (২১ নভেম্বর) শুরু হল টুর্নামেন্টের আনুষ্ঠানিক অনুশীলন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অবশ্য দিনের শুরুটা করেছে মুশফিকুর রহিমের বেক্সিমকো ঢাকা। সকাল ৭টা থেকে শুরু হওয়া এই অনুশীলনের স্থায়ীত্ব ছিল তিন ঘণ্টা। মুশফিকদের অনুশীলন চলাকালীন সকাল ৯টায় মাঠে এল ফরচুন বরিশাল। এরপর একে একে এল গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম ও জেমকন খুলনা। সবার শেষে দেখা গেল সবুজ জার্সিধারী মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীকে।
ব্যকরণ মোতাবেক প্রতিটি দলই অনুশীলনের শুরুটা করেছে ওয়ার্ম আপ দিয়ে। প্রথমে স্ট্রেস রানিং ও পরে ফুটবল। এরপর নেটে স্কিল অনুশীলন।
অনুশীলন শেষে দলগুলো ফিরে গেছে টিম হোটেলে। আর এর মধ্য দিয়েই টুর্নামেন্ট উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের তৈরী করা বায়ো বাবলে প্রবেশ করল। বাবলটি করা হয়েছে তিন স্তরের- টিম হোটেল, টিম বাস ও ভেন্যু অবধি। ১৮ ডিসেম্বর টুর্নামেন্টের পর্দা নামা পর্যন্ত সবাই অবস্থান করবেন বাবলের মধ্যে।
খুলনা গেজেট/এএমআর