র্যাবের হাতে আটক ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণির আরো একটি বিয়ের সন্ধান পাওয়া গেছে। কেশবপুরের ছেলে ফেরদৌস কবীর সৌরভের সাথে ২০১২ সালের ২৮ এপ্রিল সামসুন নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমণির প্রথম বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের ২ বছর পর থেকে উশৃঙ্খল জীবন-যাপনের কারণে পরীমণির সাথে দূরত্ব হয় তার স্বামী সৌরভের। তবে সৌরভ দাবি করেছে, তারা কেউ কাউকে এখনও তালাক দেয়নি।
সৌরভ কেশবপুর পৌরসভার সাবেক মহিলা কাউন্সিলর শাহানা কবির ফতেমার ছেলে। ফতেমার স্বামী জাহাঙ্গীর কবিরের পৈত্রিক বাড়ি পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার ভগিরাথপুর গ্রামে। ওই গ্রামেই নানা শামসুদ্দিন গাজীর বাড়িতে থাকতেন পরীমণি। ২০১০ সালে এসএসসি পরীক্ষার পর সৌরভ দাদার বাড়িতে বেড়াতে গেলে সেখানে পরিচয় থেকে তাদের মধ্যে ভালোবাসায় রুপ নেয়। ২ বছর সম্পর্কের পর ২০১২ সালের ২৮ এপ্রিল কেশবপুর পৌরসভার কাজী এম ইমরান হোসেনের মাধ্যমে ১ লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে রেজিস্ট্রেশন হয়। বিয়ের পর কেশবপুরে সংসার করার পর ঢাকাতে বনশ্রীতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। সেখানে থাকাকালীন মিডিয়ার সাথে জড়িয়ে পড়ে পরিমণি। অপরদিকে সৌরভ ঢাকার একটি ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড় ছিলেন। তিনি বর্তমানে কেশবপুরে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছেন।
ফুটবলার সৌরভ কবির জানায়, ভালোবাসার সম্পর্ক থেকেই তার সাথে পরীমনির প্রথম বিয়ে হয়। বনশ্রীতে থাকাকালে ২০১৩ সালে পরীমণি মিডিয়ার সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার পর উশৃঙ্খল চলাফেরা শুরু করে। এ নিয়ে দু’জনের মনমালিন্য থেকে তাদের ভেতর দূরত্ব তৈরি হতে থাকে। পরে ২০১৪ সালে তারা আলাদা থাকতে শুরু করে ও ২০১৫ সালে সৌরভ কেশবপুরে চলে আসে। সর্বশেষ ২০১৬ সালে পরিমণির সাথে তার কথা হয়েছে। তবে তারা কেউ কাউকে এখনও তালাক দেয়নি।
খুলনা গেজেট/এনএম