বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের অপসারণ দাবিতে এবার আমরণ অনশনে বসেছেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১২ মে) রাত সাড়ে ৯টায় চলমান অ্যাকাডেমিক শাটডাউন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নতুন এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন তারা।
জরুরি সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থী সুজয় শুভ বলেন, উপাচার্যকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারছেন না। আন্দোলনের কোনো পর্যায়ে তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। অথচ শেষ মুহূর্তে তিনি ফেসবুক লাইভে আসছেন। আমাদের স্পষ্ট কথা, তার মতো ফ্যাসিস্ট উপাচার্য আমরা চাই না।
এদিকে সোমবার শিক্ষার্থীদের ডাকা অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক শাটডাউনে ববিতে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। দিনভর ২৫টি বিভাগের পরীক্ষা চললেও শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে দেখা যায়নি। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বিবৃতি ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন শিক্ষকরা। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাংশও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সুজয় শুভ বলেন, আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনকে মেনে নিয়ে উপাচার্য সরিয়ে দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের কথায় কোনো কর্ণপাত করেননি। তাই মঙ্গলবার দুপুর ২টার মধ্যে উপাচার্য যদি পদত্যাগ না করেন তাহলে আমরা দক্ষিণবঙ্গ অচল করে দেবো।
শিক্ষার্থী মোশাররফ হোসেন বলেন, দাবি মেনে না নেওয়ায় বাধ্য হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীরা একসঙ্গে সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দ্রুত আমাদের দাবি মেনে না নিলে আন্দোলন আরও কঠোর হবে।
খুলনা গেজেট/এএজে