যশোর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরীর বাড়ির সামনে গিয়ে গালিগালাজ ও হত্যার হুমকি মামলায় যুবলীগ নেতা তৌহিদ চাকলাদার ফন্টুসহ ৮জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক একেএম সফিকুল আলম চৌধুরী।
অভিযুক্তরা হলেন, শহরের কাজীপাড়ার যুবলীগ নেতা তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু, লোন অফিস পাড়ার আশিকুল ইসলাম বাধন, ছাত্রলীগ নেতা কাজীপাড়া তেতুলতলার রওশন ইকবাল শাহী, কাঁঠালতলার বাবুল গাজী, বটতলার মোফাজ্জেল হোসেন তাপস, মানিকতলার নুরনবী ও রেলগেট তেঁতুলতলার ফাহমিদ হুদা বিজয়।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, বাদী মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তারা একই রাজনৈতিক দলের মতাদর্শী। আসামিদের সাথে চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরীর পূর্ব বিরোধ ছিল। আসামি ফন্টু চাকলাদার সদরের নরেন্দ্রপুরের বলরামপুর দীঘি লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছিলেন। মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার পর এ দীঘির লিজের মেয়াদ শেষ হয়। দীঘিটি নতুন লিজ দেয়ার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। এ লিজ পান চেয়ারম্যানের লোকজন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধের জের ধরে ২০২২ সালের ২৭ জুন গভীর রাতে আসামিরা চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ চৌধুরীর বাসার সামনে গিয়ে তাকে গালিগালাজ ও দিবালোকে হত্যা করে লাশ গুম করবে বলে হুমকি দেন।
এ ঘটনায় ২৮ জুন চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ওই আটজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
খুলনা গেজেট/কেডি