দ্রুত ত্রাণ, পানিসম্পদ ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দূর্গত এলাকা পরিদর্শন, খাদ্য সামগ্রী, ঔষধ ও খাবার পানি দ্রুত প্রেরণ, ক্ষয়-ক্ষতি নিরুপণ ও ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাকে উপদ্রুত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা, কর্মহীন মানুষের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, টেকসই বেড়ীবাঁধ নির্মানে মহা কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বাস্তবায়ন, জাতীয় দূর্যোগ মোকাবিলায় দক্ষিণাঞ্চলীয় সেল গঠন ও অফিস স্থাপন, ক্লাইমেট চেঞ্জের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দেশের দক্ষিণের জনপদ জীববৈচিত্র রক্ষায় পৃথক ফান্ড গঠন ও অর্থ সংগ্রহের ব্যবস্থার দাবিতে সরকারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে খুলনা বিএনপি। বৃহস্পতিবার (৩ জুন) দুপুর ১২টায় খুলনার জেলা প্রশাসক মো. হেলাল হোসেন এর মাধ্যমে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, গত ২৬ মে/২১ ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছাসে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের জেলাগুলি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। উপকূলীয় বাঁধ ভেঙ্গে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে। এছাড়া দেশের রপ্তানীমুখ্য মৎস্য সম্পদ বিনষ্ট হয়েছে বিলিন হয়ে গেছে রাস্তাঘাট, ধ্বংস হয়ে গেছে বাড়ী ঘর, বন্যপ্রাণী ভেসে গেছে, দেখা দিয়েছে খাদ্য ও খাবার পানি সংকট। মানুষ হারিয়েছে তাদের কর্মসংস্থান। কিন্তু এখনো শুরু হয়নি জরুরী ত্রাণ তৎপরতা। দেশের দক্ষিণের মানুষ বরাবরই সরকারের অবহেলার শিকার। আইলা ও আম্ফান ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত জনপদের ক্ষতিগ্রস্থ জনগণকে বলা হয়েছিলো উপকূলীয় মানুষ রক্ষায় টেকসই বেড়ী বাঁধ, সবুজ বেষ্টনী, কর্মহীন মানুষের জন্য ব্যবস্থা করা হবে বিকল্প কর্মসংস্থান কিন্তু কিছুই হয়নি।
স্মারকলিপিতে শুধু অঙ্গিকার নয় বরং জনগণের বেঁচে থাকার অধিকার রক্ষায় দ্রুত সকল পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, জেলা সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা, জাফরুল্লাহ খান সাচ্চু, এড. ফজলে হালিম লিটন, স ম আব্দুর রহমান, শাহ জালাল বাবলু, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান মন্টু, সিরাজুল হক নান্নু, আবু হোসেন বাবু, মাহবুব কায়সার, আশরাফুল আলম নান্নু, এড. শহিদুল আলম, মহিবুজ্জামান কচি, সাজ্জাদ হোসেন পরাগ, চৌধুরি হাসানুর রশিদ মিরাজ, মিজানুর রহমান মিলটন, এনামুল হাসান ডায়মন্ড, আবু সাঈদ শেখ, তানভীরুল আজম রুম্মান, শামসুল বারি পান্না, মোহাম্মাদ আলী, সিরাজুল ইসলাম লিটন, শরিফুল ইসলাম শরীফ প্রমূখ।
খুলনা গেজেট/এনএম