জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে ২০৫০ সালের মধ্যে উপকূলের ১৭ শতাংশ মানুষ উদ্বাস্তু হতে বাধ্য হবে। একই সাথে ৪০ শতাংশ জমি চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়বে।
প্রতিকূল পরিস্থিতিতে জলবায়ু উদ্বাস্তুদের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সাতক্ষীরা শহরের ম্যানগ্রোভ সভাঘরে আয়োজিত এক অ্যাডভোকেসি কর্মশালায় আইপিসিসির উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ইউনোপস এর সহায়তায় বেসরকারি সংস্থা এডুকো বাংলাদেশ ও উত্তরণ যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে।
সিনিয়র সাংবাদিক অ্যাড. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে কর্মশালার আলোচনায় অংশ নেন, দক্ষিণের মশাল সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক ইলাহী, সিনিয়র সাংবাদিক মিজানুর রহমান, এম কামরুজ্জামান, ফারুক মাহবুবুর রহমান, মোহাম্মদ আলী সুজন, গোলাম সরোয়ার, অ্যাড. বদিউজ্জামান, মোশারফ হোসেন, শহিদুল হক রাজু, আব্দুল জলিল, আবদুস সামাদ, বেলাল হোসেন, মেহেদী আলী সুজয়, আসাদুজ্জামান প্রমুখ।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উত্তরণ কর্মকর্তা অ্যাড. মুনীরুদ্দীন। তথ্য চিত্র উপস্থাপন করেন প্রকল্প কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান।
কর্মশালায় বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলীয় এলাকায় সহায় সম্বল হারিয়ে অনেক মানুষ উদ্বাস্তু হচ্ছে। আর এসব জলবায়ু উদ্বাস্তুরা শহরে এসে বস্তিতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে। শিক্ষা থেকে ঝরে পড়ছে শিশুরা। তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে, পুষ্টিহীনতায় ভুগছে অধিকাংশ মানুষ। বস্তিতে স্যানিটেশন সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করছে। জলবায়ু উদ্বাস্তদের জীবনমান উন্নয়নে সাতক্ষীরা শহরের ৫টি বস্তিতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্যানিটেশন ও বিকল্প জীবিকায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ টিএ