বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সদস্য সেখ সালাহ্ উদ্দিন জুয়েল বলেছেন, নগরবাসির সহযোগিতায় খুলনাকে তিলোত্তমা নগরীতে পরিণত করবো, ইনশাল্লাহ। অতীতের সকল ষড়যন্ত্রের সাথে বিএনপি-জামায়াত জড়িত থেকে দেশকে পিছিয়ে নিতে চেয়েছিলো। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার ধৈর্য্য, বিচক্ষণতা আর দক্ষতার কারনেই ওই ষড়যন্ত্র কোন কাজে আসেনি।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ছিলো বলেই আজ পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে। বন্ধ মোংলা বন্দর আবার লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। খুলনায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ডেন্টাল কলেজ, ক্যান্সার হাসপাতাল, রামপাল, খুলনা নিউজপ্রিন্টে এবং গোয়ালখালিতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এসে দেশের সকল মিল কলকারখানা বন্ধ করে দিয়েছিলো। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে ওই সকল বন্ধ মিল চালু করেছিলো। তিনি এদেশে লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান করেছেন।
তিনি আরো বলেন, নগরীতে উন্নয়ন কাজ চলছে। এই উন্নয়ন কাজ শেষ হলে নগরীতে কোন জলাবদ্ধতা থাকবে না। খুলনা হবে একটি স্বাস্থ সম্মত নগরী।
তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সকল ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করতে সকল মানুষের ঘরের ঘরে গিয়ে উন্নয়নের সত্য সংবাদটি পৌছে দিতে হবে। নগরবাসির পাশে থেকে তাদের সকল সমস্যার সমাধান করতে হবে। মনে রাখতে হবে বঙ্গবন্ধু সব সময়ই খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য রাজনীতি করতেন। সেই আদর্শকে বাস্তবায়ন করতে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পুনরায় সরকার গঠন করে দেশবাসির সেবা করতে হবে।
শনিবার বাদ মাগরিব ২৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের পরিচিতি ও কর্মী সভায় সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল হ্ইা পলাশের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. শামীম মোশাররফের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, আবুল কালাম আজাদ কামাল, ফেরদৌস আলম চান ফরাজী।
প্রধান বক্তার বক্তৃতা করেন, সদর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, বিশেষ বক্তার বক্তৃতা করেন, সদর থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, নাজনীন নাহার কণা, এ্যাড. এস এম তারিক মাহমুদ তারা, কাউন্সিলর রেক্সনো কালাম লিলি, নূরীনা রহমান বিউটি, মো. সফিকুর রহমান পলাশ, এম এ নাসিম, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক অধ্যা. আলমগীর কবির, দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, মো. তারিকুল আলম খান, কাজী জাহিদুল ইসলাম, মো. আনিছুর রহমান বিশ্বাষ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম মনু, নুরজাহান রুমি, গোলাম হায়দার বুলবুল, এ্যাড. সাজ্জাদ আলী, শেখ হারুন মানু, খাদিজা কবির তুলি, এ্যাড. শামীম আহমেদ পলাশ, মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম, শেখ সিদ্দিকুর রহমান, হাফেজ আব্দুল ওয়াদুদ, জাফর আহমেদ রাজা, মো. তাজুল ইসলাম, ফেরদৌসী আলম রিতা, শবনম মোস্তারি বকুল, ইলিয়াছ হোসেন লাবু, আসিবুল ইসলাম দীপ, আল আমিন কবির, মিঠু আকন, মো. রাসেল, মো. তুষার, আবিদ হাসান, আব্দুল কাদির সৈকত সহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
অনুষ্ঠানে অনুমোদিত কমিটির পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়।