বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে একপেশে ও দাপুটে তুলে নিয়েছে ওমান। পাপুয়া নিউগিনিকে তারা হারিয়েছে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। আগে ব্যাটিং করে পাপুয়া নিউগিনি সংগ্রহ করে ১২৯ রান। ৩৮ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ওমান।
আল আমেরাত ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে পাপুয়া নিউগিনিকে আগে ব্যাট করার জন্য আমন্ত্রণ জানায় ওমান। পাপুয়া নিউ গিনির দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকেই শূন্য রানে সাজঘরের পথ দেখায় স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় উইকেটে সেই ধাক্কা সামাল দেন আসাদ ভালা ও চালর্স আমিনি। তারা গড়েন ৮১ রানের জুটি। চার্লস ২৬ বলে ৩৭ রান করে আউট হলে এই জুটি ভেঙে যায়।
চালর্স ফেরার পরে আসাদও আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। মাঠ ছাড়ার আগে পাপুয়া নিউগিনির অধিনায়ক অর্ধশতক হাঁকান। ৪৩ বলে ৫৬ রান করে বিদায় নেন তিনি। আসাদের ব্যাট থেকে আসে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা।
সম্পূর্ণ ২০ ওভার ব্যাটিং করে পাপুয়া নিউগিনি সংগ্রহ করে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১২৯ রান। ওমানের পক্ষে জিসান মাকসুদ ২০ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেটে এবং বিলাল খান ও কলিমউল্লাহ ২টি করে উইকেট শিকার করেন।
জবাবে ওমানের পক্ষে উড়ন্ত শুরু করেন দুই ওপেনার উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান আকিব ইলিয়াস ও জতিন্দর সিং। তাদের জুটিতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ওমান। আকিব ৪৩ বলে ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন। জতিন্দর খেলেন ৪২ বলে ৭৩ রানের অপরাজিত ইনিংস। তার ব্যাট থেকে আসে ৭টি চার ও ৪টি ছক্কা। পাপুয়া নিউগিনি একটি ক্যাচ আউটের সুযোগ সৃষ্টি করলেও নো বলের সুবাদে সেই সুযোগ নষ্ট হয়ে যায়।
মাত্র ১৩.৪ ওভারে ১৩১ রান করে ফেলে ওমান। ফলে ৩৮ বল ও ১০ উইকেট হাতে রেখে বিশাল জয় দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল ওমান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাপুয়া নিউগিনি ১২৯/৯ (২০ ওভার)
আসাদ ৫৬, আমিনি ৩৭;
মাকসুদ ৪/২০, বিলাল ২/১৬, কলিমউল্লাহ ২/১৯।
ওমান ১৩১/০ (২০ ওভার)
জতিন্দর ৭৩*, আকিব ৫০*;
ওমান ১০ উইকেটে জয়ী।