আমি জানি, লাল পেয়ালায় চুমুক দিয়ে
ভুলে যাবো তাদের কথা।
পরিহিত পোশাকীর লাল সেলুটের শ্রদ্ধার্ঘে
বিগলিত হয়ে যাবো-
এরপর সজ্জিত টেবিলে চৈনিক খাবার চিবুতে চিবুতে
ভুলে যাবো গোলপাতায় মোড়ানো তাদের জীর্ণ বাসস্থানের কথা।
হাড় বের হওয়া ছিন্ন বস্ত্রের বালক বালিকাদের
উদ্বাস্তু হওয়ার কষ্ট ভুলে যাবো।
সুরম্য দালানের কারুকার্য দেখে মোহবিষ্ট
হতে হতে উঠে যাবো সেই ছাদের কার্নিশে-
সেখান থেকে দিগন্ত বিস্তৃত প্রকৃতির অবয়ব দেখিয়ে তারা বলবে তাদের কেন এটা ভীষণ প্রয়োজন।
আমরা তখন শুধু তাদের ‘অনস্বীকার্য’ প্রয়োজনটুকু ই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিব।
সুরম্য দালানের আয়তক্ষেত্র বৃদ্ধির প্রতিবাদী দল তৈরি হবে; তারপর সে দলের অগ্রগামী সৈনিকটি কে আলো আধারে গুজে দিবে তারল্যের রসদ।
তারপর সে হারিয়ে যাবে দল ভেঙে, ভিন্ন শহরে
প্রতিবাদ থেমে যাবে গোপন আঁতাতে।
সময় গড়াবে যত আমাদের মসির ডগায় লাল-কালো
চক্রেবক্রে চিহ্ন পরে যাবে তত
ভেঙে যাবে আবাস, ঘাস, বৃক্ষ বাশ
বিস্তীর্ণ সবুজ সড়ে ঘিরে ধরবে দেয়াল
প্রবেশাধিকার হবে ভীষণ সংরক্ষিত।
তারপর হয়তো একদিন দেখা যাবে
ছিন্ন বালক বালিকাদের দের কেউ
রেল লাইনের ধারে, কেউ মস্ত শহরে
হয়তো ইট কাঠের ঘরে,
সুখী কিংবা অসুখী গৃহবাসে।
লেখক : উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মোংলা।