কয়েক দিন আগের ভয়াবহ ভূমিকম্পের আঘাত এখনও সামলে উঠতে পারেনি মিয়ানমার। দেশজুড়ে চলছে উদ্ধার তৎপরতা; এর মধ্যেই ফের ৪ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এ দেশটি।
ভারতের ভূমিকম্প গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (এনসিএস) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় জানিয়েছে, আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ২ মিনিটে আঘাত হানে ভূমিকম্পটি। ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল এই কম্পনের উৎপত্তিস্থল। প্রথম ধাক্কার পরে একাধিক আফটার শক হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে এনসিএসের বার্তায়।
গতকাল শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিয়ানমারে শক্তিশালী দু’টি ভূমিকম্প আঘাত হানে। দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শহর মান্দালয় থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্র বা এপিসেন্টার। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ ও গবেষণা সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্প দুটির মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৭.৭ এবং ৬.৪।
ব্যাপক এই ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয় মিয়ানমারের প্রতিবেশী থাইল্যান্ড, দক্ষিণ-পশ্চিম চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া ও বাংলাদেশেও। বিশেষজ্ঞদের মতে, ২৮ মার্চের ভূমিকম্প দু’টি ছিল গত এক শতাব্দির মধ্যে মিয়ানমারের সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সির তথ্য অনুযায়ী, মিয়ানমারের বিভিন্ন গ্রাম-শহরের ধ্বংসস্তূপ থেকে এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৬০০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদিকে চীনের সিনহুয়া নিউজের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৮ মার্চ ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ৫ হাজার ১৭ জন আহত হয়েছেন এবং এখনও আরও ১৬০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
ভূমিকম্পের পর সর্বপ্রথম চীন, রাশিয়া এবং ভারত সেখানে উদ্ধারকারী পাঠায়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ থেকে উদ্ধারকারী দল মিয়ানমারে যায়। তারা ভবনের নিচে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার ও তাদের শনাক্ত করার কাজটি করছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, মিয়ানমারের রাজধানী নেইপিদোর ৬টি এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ের ৬টি এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে ভারতীয় উদ্ধারবাহিনী।
সূত্র : এনডিটিভি অনলাইন
খুলনা গেজেট/এনএম