খুলনা, বাংলাদেশ | ২৮ পৌষ, ১৪৩১ | ১২ জানুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৪৫
  বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় আবারও ফেল সাকিব আল হাসান, এক বছরের জন্য বল করতে পারবেন না আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে
  নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দল নিয়েই আগামী জাতীয় নির্বাচন: সিইসি

উত্তেজনা প্রশমনে নানা উদ্যোগ : ভারতের পররাষ্ট্র সচিব আসবেন ঢাকায়, দিল্লি সফরে ডোনাল্ড লু

গেজেট ডেস্ক

স্বাধীনতার ৫৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে টানাপড়েন চলছে ঢাকা-দিল্লির সম্পর্কে। গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারত চলে যাওয়ার পর ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে একপ্রকার শীতল সম্পর্ক চলছিল দিল্লির। গত প্রায় দুই সপ্তাহ সম্পর্কের অস্থিরতা হঠাৎ করেই বেড়ে যায়। বিশেষ করে ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের ভুল বার্তা প্রকাশ এবং সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তার নিয়ে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

এর প্রেক্ষাপটে আগরতলায় বাংলাদেশের উপহাইকমিশনে হামলা হয় এবং বাংলাদেশের পতাকা অবমাননা করার ঘটনা ঘটে। যদিও ভারত এতে দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং বাংলাদেশ সরকার গত মঙ্গলবার ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে। তবে সম্পর্ক স্থিতিশীল রাখতে চায় দুই দেশ। এ পরিস্থিতিতে আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা সফর করতে পারেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। কূটনীতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, দুই রাষ্ট্রের মধ্যে অস্থিরতা কমাতে দুই দেশের সচিব পর্যায়ের বৈঠকটি খুবই জরুরি।

এদিকে গত মঙ্গলবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু দিল্লি সফরে রয়েছেন। সাত দিনের এ সফরে লু ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারত, শ্রীলঙ্কা ও নেপাল সফর করবেন। ধারণা করা হচ্ছে, লুর দিল্লি সফরেও বাংলাদেশ বিষয় আলোচনায় প্রাধান্য পাবে। যার প্রতিফলন ঘটতে পারে পররাষ্ট্র সচিবদের বৈঠকে।

ঢাকা ও দিল্লির কূটনৈতিক সূত্র বলছে, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে এই টানাপড়েন নিয়ে উভয় দেশেই অস্বস্তিতে রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে লুর দিল্লি সফর এবং বিক্রম মিশ্রির ঢাকা সফরের দিকে এখন সবার দৃষ্টি। যদিও মিশ্রির এ সফরটি পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের একটি নিয়মিত সফরের অংশ। তারপরও ধারণা করা হচ্ছে, আগামী কয়েক দিনের পরিস্থিতি এবং শেষ পর্যন্ত যদি সফরটি হয় তাহলে দুই দেশের জন্য কিছুটা স্বস্তির খবর আসতে পারে। আর এটি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর হতে পারে ভারত সরকারের জ্যেষ্ঠ কোনো কর্মকর্তার প্রথম ঢাকা সফর।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের সফরের ওই সিদ্ধান্ত হয়, গত ২৩ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে সাইডলাইনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের মধ্যে একটি বৈঠকে। সেটি ছিল ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে আগস্টে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম উচ্চপর্যায়ের যোগাযোগ। ঢাকা-দিল্লি কূটনৈতিক সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্ষিক আলোচনার জন্য (ফরেন অফিস কনসালট্যান্সি বা এফওসি) বাংলাদেশে ও ভারত আলোচনার বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছে।

এদিকে ঢাকা-দিল্লির বর্তমান টানাপড়েনে এ সফরটি স্থগিত হওয়ারও আশঙ্কা করছিল কূটনীতিকরা। তবে গতকাল বুধবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে এ সফর নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি সম্ভবত ১০ ডিসেম্বর দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে আলোচনার জন্য বাংলাদেশে আসবেন। যদিও গতকাল রাত পর্যন্ত দুই দেশের কেউই এ সফরের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেয়নি। এর আগে সবশেষ পররাষ্ট্র দপ্তরের পরামর্শের বৈঠক ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

সাবেক রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট হুমায়ুন কবির মনে করেন, এফওসি একটি নিয়মিত বিষয় হলেও ভারতের সঙ্গে এবারের এফওসির আলাদা তাৎপর্য আছে। বর্তমান অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে দুই দেশের সম্পর্ক স্থিতিশীল করার জন্য বৈঠকটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক ঐতিহ্যগত। দুই দেশের সম্পর্ক পরস্পর নির্ভরশীল। এ সম্পর্ক অবশ্যই স্থিতিশীল করতে হবে। এ সম্পর্ক স্থিতিশীল করার ক্ষেত্রে ভারতের পক্ষ থেকে উদ্যোগী হতে হবে। ভারতকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচার বন্ধ করতে হবে। তৃতীয় অনেক দেশে ভিসার জন্য বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীকে দিল্লি যেতে হয়। গত ১৫ বছর ভারত সহজে ভিসা দিত। গত আগস্ট থেকে ভিসা খুব সীমিত করা হয়েছে। ভিসা সহজ করা ভারতের সদিচ্ছার প্রথম ধাপ হতে পারে।

এদিকে ভারত থেকে বাংলাদেশে এখন পণ্য রপ্তানি হলেও বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি প্রায় বন্ধ হয়ে আছে। এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে সীমান্তের নানা ইস্যু, গঙ্গা চুক্তি নবায়নসহ অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টনের মতো নিয়মিত অনেক বিষয় ঝুলে আছে। এতে দুই দেশের মানুষই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই দুই দেশের পক্ষ থেকেই সম্পর্ক স্বাভাবিক করার তাগিদ অনুভব করা উচিত বলে মনে করেন কূটনীতিক বিশ্লেষকরা।

সম্প্রতি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘৫ আগস্টের আগে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল একরকম। ৫ আগস্টের পর সেটার পরিবর্তন হয়ে গেছে, এটা হলো বাস্তবতা। এ বাস্তবতার নিরিখেই ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বিনির্মাণ করতে হবে এবং এটা অব্যাহত রাখতে হবে। যেকোনো পরিবর্তনেই সময় লাগে। আমার বিশ্বাস ভারত পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এ সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কীভাবে এগিয়ে নিতে হবে, সেটা উপলব্ধি করবে এবং করছেও সেটা। আমি প্রত্যাশা করব, তারা সে অনুযায়ী এগোবে।’

একই মনোভাব দেখিয়েছেন গত মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তলবে এসে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। তিনি বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক বহুমুখী, এখানে কথা বলার অনেক ক্ষেত্র রয়েছে। এ সম্পর্ককে শুধু একটি মাত্র বিষয়ে সীমাবদ্ধ করা যায় না। শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের অভিন্ন আকাক্সক্ষা পূরণে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী তার দেশ। তিনি বলেন, ‘আমরা সত্যিকার অর্থে একটি গঠনমূলক ও স্থিতিশীল সম্পর্ক চাই। এখানে অনেক বিষয় রয়েছে। অনেক বিষয়ে একে অন্যের ওপর নির্ভরশীলতা রয়েছে। পরস্পরের ওপর এ নির্ভরশীলতা আমরা উভয়ের স্বার্থে কাজে লাগাতে চাই। আমরা আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখব, যাতে আমাদের দুই দেশই উপকৃত হয়। এখানে অনেক ইতিবাচক অগ্রগতিও রয়েছে।’

দিল্লি সফর করছেন ডোনাল্ড লু

গত মঙ্গলবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু দিল্লি সফরে রয়েছেন। ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারত, শ্রীলঙ্কা ও নেপাল সফর করবেন। লুর সফর সম্পর্কে গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের একটি বিবৃতিতে এ কথা নিশ্চিত করে বলা হয়েছে, তার সফরের লক্ষ্য হচ্ছে এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতার সম্পর্ক জোরদার এবং আঞ্চলিক সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তার উন্নতি করা।

নয়াদিল্লিতে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী লু মার্কিন-ভারত ইন্দো-প্যাসিফিক অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি প্রয়োগে সহযোগিতা করবেন। লু মার্কিন-ভারত পূর্ব এশিয়া আলোচনা সভায় নেতৃত্বদানকারী যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড্যানিয়েল ক্রিটেনব্রিঙ্কের সঙ্গে যোগ দেবেন।

বিবৃতি অনুযায়ী গতকাল ভারতের সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক হয়। বৈঠকে বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক পরিপ্রেক্ষিত ইস্যুগুলো স্থান পায়। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়, আজ লু শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো যাবেন। শ্রীলঙ্কায় তিনি টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, দুর্নীতি দমন, দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে যুত্তরাষ্ট্র-শ্রীলঙ্কান যৌথ প্রচেষ্টাগুলোকে এগিয়ে নিতে শ্রীলঙ্কার সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

এ সময় ইউএসএআইডির উপসহকারী প্রশাসক অঞ্জলি কাউর এবং মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসহকারী মন্ত্রী রবার্ট ক্যার্ফোথকে নিয়ে শ্রীলঙ্কার সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তা এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী লু কাঠমান্ডুতে নেপালের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে পরিবেশ রক্ষায় অগ্রগতি, নারীর ক্ষমতায়ন এবং টেকসই উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করবেন। নেপাল সফর শেষে নিজ দেশে ফিরে যাবেন।

কলকাতায় স্মারকলিপি, চেন্নাইয়ে বিক্ষোভ থেকে বহু আটকের খবর :

পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে গতকাল একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ধর্মীয় শাখা বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। এতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে বাংলাদেশের ‘ইসকনের প্রধান পুরোহিত’ হিসেবে উল্লেখ করে তাকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের কোথাও গতকাল বাংলাদেশবিরোধী বিক্ষোভের খবর পাওয়া যায়নি। তবে চেন্নাইয়ে বিক্ষোভ থেকে অনেককে আটক করা হয়েছে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিশ্ব হিন্দু পরিষদের স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ চিন্ময়ের গ্রেপ্তারকে অগণতান্ত্রিক, অমানবিক ও মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে দেখছে। বাংলাদেশের কিছু ‘উপদল’ নিয়মিতভাবে হিন্দু সম্প্রদায়কে লক্ষ্যবস্তু করছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও ভারতের প্রতিক্রিয়াকে ‘সীমিত’ বলে উল্লেখ করে বাংলাদেশের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধির আবেদন করা হয়েছে, যাতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে মুক্তি দেওয়া হয় এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর চাপ কমে। স্মারকলিপিতে সই করেছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দক্ষিণবঙ্গের সভাপতি সুবীর সান্যাল।

উপহাইকমিশনের প্রধান ফটকে স্মারকলিপিটি দূতাবাস কর্র্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়ার পর কিছুটা দূরে তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিনিধিদলের মুর্শিদাবাদে ভারত সেবাশ্রম সংঘের প্রধান কার্তিক মহারাজ সাংবাদিকদের বলেন, তারা আরও কিছুদিন অপেক্ষা করবেন। পরিস্থিতি দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।

কার্তিক মহারাজ বলেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে মুক্তি দেওয়া না হলে এবং ‘সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার না কমালে’ তারা লাখ লাখ মানুষ নিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে যাবেন। সীমান্ত বন্ধ করে দেবেন। ভারত থেকে যেসব খাদ্য বাংলাদেশে যায়, তা আর যাবে না।

অন্যদিকে দক্ষিণ ভারতের চেন্নাইয়ের উপকূলবর্তী অঞ্চলে রাজা রথিনাম স্টেডিয়ামের সামনে বাংলাদেশবিরোধী বিক্ষোভ করেছেন বিজেপি, আরএসএস, এবিভিপি, হিন্দু মুন্নানি এবং অন্যান্য হিন্দু সংগঠনের সমর্থকরা। সেখান থেকে পুলিশ অনেককে আটক করেছে বলে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে।

চেন্নাইয়ে কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ উপহাইকমিশন চালু করা হয়। উপকূলবর্তী এ অঞ্চল থেকে উপহাইকমিশনের দূরত্ব খুব একটা বেশি নয়। উপহাইকমিশন উপকূলবর্তী অলওয়ারপেটে, যা স্টেডিয়াম থেকে অন্তত সাত কিলোমিটার দূরে। বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা ও সেখানে হিন্দুদের ওপর হামলা বন্ধের দাবি জানিয়েছে।

 

খুলনা গেজেট/এইচ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!