ভারতের উত্তরাখণ্ডে একটি মাদ্রাসা ও মসজিদকে ভেঙে ফেলা নিয়ে ব্যাপক সহিংসতা দেখা দিয়েছে। এতে কমপক্ষে চার জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আড়াইশ মানুষ। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সেখানে কারফিউ জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
সহিংসতাকারীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেয়া হয়েছে । স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি। এতে বলা হয়, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের হলদানি শহরে। ওই শহরে একটি মাদ্রাসা ও মসজিদ অবৈধভাবে গড়ে তোলার কারণে বৃস্পতিবার আদালতের নির্দেশে তা ভেঙে দিতে বিপুল পরিমাণ পুলিশের উপস্থিতিতে সরকারি কর্মকর্তাদের একটি দল সেখানে যায়।
এ সময়ে উত্তেজনা তৃঙ্গে ওঠে। মসজিদ ও মাদ্রাসা ভেঙে দিতে উদ্যত হলে ওই শহরের ভানভুলপুরা এলাকায় প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়। এতে সহিংসতা সৃষ্টি হয়। তাতে আহত হয়েছে পুলিশের কমপক্ষে ৫০ সদস্য। ক্রসফায়ারের মধ্যে পড়েন বেশ কিছু প্রশাসনিক কর্মকর্তা, মিউনিসিপ্যালের কর্মীরা ও সাংবাদিকরা। সহিংসতায় পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। পক্ষান্তরে প্রতিরোধকারীরা ইটপাটকেল ছুড়ে জবাব দেন। কিন্তু পুলিশ স্টেশনের বাইরে গাড়িগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ফলে পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটে।
ওই মাদ্রাসা ও মসজিদ ভেঙে দিতে উপস্থিত হয় বিপুল পরিমাণ পুলিশ, প্রোভিন্সিয়াল আর্মড কনস্টেবুলারির সদস্য।
পুলিশের সিনিয়র এসপি প্রহ্লাদ মীনা বলেন, আদালতের নির্দেশে ওই দুটি স্থাপনা ভেঙে দেয়া হয়েছে। বুলডোজার এই অবকাঠামোর দিকে অগ্রসর হলে নারীসহ উত্তেজিত এলাকাবাসী রাস্তায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেন। তারা ব্যারিকেড ভেঙে দিয়ে পুলিশের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করতে থাকে। এক পর্যায়ে সহিংসতা সৃষ্টি হয়। কমপক্ষে ২০টি মোটরসাইকেল এবং পুলিশের দুটি ববাস পুড়িয়ে দেয়া হয়।
মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বলেছেন, আদালতের নির্দেশের পর স্থাপনা ভাঙা হয়েছে। তিনি বলেন, সমাজবিরোধীরা সেখানে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। মিউনিসিপ্যাল কমিশনার পঙ্কজ উপাধ্যায় দাবি করেছেন, ওই মাদ্রাসা ও মসজিদ অবৈধ স্থানে গড়ে উঠেছিল।
খুলনা গেজেট/এনএম