বন্যা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন, উত্তরবঙ্গের অবহেলিত মানুষের অধিকার নিশ্চিতকরণ ও বন্যাকবলিত এলাকায় দ্রুত রাষ্ট্রীয় সহায়তা পাঠানোর দাবিতে বুধবার (২ অক্টোবর) মানববন্ধন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ। দুপুর সাড়ে ১২টায় এ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদী চত্বরে এ মানববন্ধনে আয়োজন করেন শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ৫ টি দাবি তুলে ধরেন । দাবিগুলো হলো:
১. তিস্তা কমিশন গঠন করে দ্রুত তিস্তা মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে ।
২. তিস্তা পাড়ের মানুষের একদিকে নদী ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে ভিটা মাটি অন্যদিকে বন্যায় ভেসে যাচ্ছে সর্বস্ব। তাই প্রতিকারের নিমিত্তে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে দ্রুত স্থায়ী পূর্নবাসনের আওতায় আনতে হবে।
৩. শুষ্ক মৌসুমে মৃতপ্রায় তিস্তা, বর্ষায় আগ্রাসী হয়ে ওঠে। তাই নদী খনন করে নাব্যতা ফিরিয়ে এনে নদী শাসনের ব্যাবস্থা করতে হবে।
৪. নদী রক্ষা বাঁধের নামে নদীর উৎসমুখ বন্ধ করে ঘাঘট-মানস-বাইশাডারার মতো শাখা নদীগুলোকে তিস্তা থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। তাই অপরিকল্পিতভাবে নদী রক্ষা বাঁধ ও ব্যারেজ নির্মাণ বন্ধ করতে হবে।
৫. ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই ভারত একতরফা পানি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। ভারত একতরফা পানি প্রত্যাহার প্রতিবাদে এবং তিস্তা চুক্তির জন্য বাংলাদেশ সরকারের
জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে ।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছাত্র বিষয়ক পরিচালক ড. নাজমুস সাদাত বলেন, “ভারতের শোষণমূলক পররাষ্ট্র নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আমরা আর শুষ্ক মৌসুমে মরুভূমি আর বর্ষায় পানিতে ভাসতে চাই না।”
এ সময় চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রাফি তাহিয়াত বলেন, “উত্তরবঙ্গের বন্যা কি কেবলই একটি আঞ্চলিক সমস্যা? কুড়িগ্রাম ও নীলফামারী কি বাংলাদেশের অংশ নয়? তাহলে কেন এতো বৈষম্য?”
খুলনা গেজেট/এএজে