আফগানিস্তানের দেওয়া ২১৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে জোড়া বাউন্ডারিতে শুরু করে বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় ওভারে মুজিব উর রহমান আসতেই অস্বস্তিতে দেখা যায় দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাসকে। সেই অস্বস্তির সুযোগ নিয়েছেন আরেক বোলার ফারুকি। লিটন দাসকে আউট করে বাংলাদেশকে বড় ধাক্কা দিয়েছেন ফারুকি।
দলীয় ১৩ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। লিটন করেছেন ৮ বলে ১ রান। লিটন ফেরার পর তামিম ইকবালকেও টিকতে দেয়নি আফগানিস্তান। একই ওভারে বাংলাদেশ অধিনায়ককে বিদায় করেন ফারুকি। দুই বাউন্ডারিতে ৮ রান করে ফিরেছেন তামিম। এরপর এই ফারুকির বলেই কাটা পড়েন মুশফিকুর রহিম ও অভিষিক্ত ইয়াসির আলী রাব্বি। দলের বিপদে টিকতে পারলেন না সাকিব আল হাসানও। দ্রুত ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ।
আজ বুধবার সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৪৯.১ ওভারে ২১৫ রান সংগ্রহ করেছে আফগানিস্তান। দলের হয়ে সর্বাধিক ৬৭ রানের ইনিংস খেলেছেন নাজিবুল্লাহ জাদরান। ৮৪ বলে তাঁর ইনিংসে ছিল চার বাউন্ডারি ও দুটি ছক্কা।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় আফগানিস্তান। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই আফগান শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন মুস্তাফিজুর রহমান। বাঁহাতি পেসারের বল মোকাবিলা করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। ক্যাচ হাতের মুঠোয় নিয়ে আফগান ওপেনারকে ফেরান তামিম ইকবাল। দলীয় ১১ রানে প্রথম উইকেট হারায় আফগানরা।
শুরুর ধাক্কা সামলে দ্বিতীয় উইকেটে প্রতিরোধের চেষ্টা করে আফগানিস্তান। রহমত শাহ ও ইব্রাহিম জাদরানের জমে ওঠা এ জুটি ভাঙেন শরিফুল। বাঁ-হাতি পেসারের বলে ড্রাইভ করার চেষ্টা করেন ইব্রাহিম। ঠিকঠাক পারেননি। উল্টো ক্যাচ তুলে দেন স্লিপে। সেখানে থাকা ইয়াসির বল মুঠোয় নিয়ে ফেরান তাসকিনের বলে জীবন পাওয়া ইব্রাহিমকে। ২৩ বলে ১৯ রান নিয়ে বিদায় নেন তিনি। আফগানদের দ্বিতীয় জুটি ভাঙে ৪৫ রানে।
আফগান শিবিরে তৃতীয় আঘাত হানেন তাসকিন। ডান-হাতি পেসারের দ্বিতীয় স্পেলে কট বিহাইন্ড হয়ে ফেরেন থিতু হওয়া ব্যাটসম্যান রহমত শাহ। তিন বাউন্ডারিতে ৬৯ বলে ৩৪ রান করে ফেরেন তিনি।
জমে যাওয়ার আরেক ব্যাটার হাশমতউল্লাহ শাহিদিকে বোলিংয়ে এসেই ফিরিয়ে দেন মাহমুদউল্লাহ। অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারের অফ স্পিনে কাটা পড়েন আফগান অধিনায়ক। ৪৩ বলে ২৮ করে ফিরে যান শাহিদি।
২৮ ওভারে আফগানদের ৪ উইকেট নিলেও রান দেওয়ায় কিপটে ছিলেন বাংলাদেশি বোলারেরা। ২৮ ওভারে স্কোরবোর্ডে আফগানিস্তান তোলে ১০২ রান।
কিন্তু, এরপর কিছুটা ছন্দ হারান বাংলাদেশের বোলারেরা। সে সুযোগ লুফে নিয়ে রানের গতি বাড়িয়েছে আফগানিস্তান। মোহাম্মদ নবি ও নাজিবুল্লাহ জাদরানের ব্যাটে আরেকটি ভালো জুটি পায় আফগানিস্তান। এ জুটিতে তারা পায় ৬৩ রান। এরপর শেষে দিকে জাদরানের ব্যাটে চড়ে শেষ পর্যন্ত স্কোরবোর্ডে ২১৫ রান তোলে সফরকারীরা।
বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে ৩৫ রান খরচায় ৩টি উইকেট নেন মুস্তাফিজ। ৫৫ রান খরচায় তাসকিন নেন দুটি উইকেট। সমান দুটি করে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান ও শরিফুল ইসলাম। মাহমুদউল্লাহর শিকার একটি।