খুলনা, বাংলাদেশ | ১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  আইপিএল নিলামে অবিক্রিত মোস্তাফিজুর রহমান, ভিত্তিমূল্য ছিলো ২ কোটি রুপি
  ইসকন নেতা চিন্ময় দাসকে বিমান বন্দরে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি
  কক্সবাজারের টেকনাফ সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
  সাবেক আইজিপি মামুনের ফের ৩ দিনের রিমান্ড

উইকেট বুঝে বোলিং বদলে ফেলবেন সাইফউদ্দিন

ক্রীড়া প্রতিবেদক

মিরপুরের উইকেট যেন ব্যাটসম্যানদের বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও দেখা গেছে একই অবস্থা। উইকেট ধীরগতির, বল ব্যাটে আসছে পরে। মাঝেমধ্যে নিচুও হয়ে যাচ্ছে। তাই স্পিনাররা পাচ্ছেন বাড়তি সুবিধা। পেসারদেরও গতি কমিয়ে কাটার-স্লোয়ারে মনোযোগ দিতে হচ্ছে।

সামনের ম্যাচগুলোতেও কি একই কৌশলে এগোবেন পেসাররা? পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন অবশ্য তেমনটা মনে করছেন না। বরং উইকেট বুঝে বোলিং বদলে ফেলার কথাও মাথায় রাখছেন তিনি।

সাইফউদ্দিন বলেন, ‘পেস বোলার হিসেবে সব কন্ডিশন ও উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ চিন্তা করি। আমাদের সামনে যে উইকেট, ওই কন্ডিশন অনুযায়ী বল করার চেষ্টা করি। পরের ম্যাচে যদি পিচের চরিত্র বদল হয়, তবে সে অনুযায়ী আমরা বাউন্সার, স্লোয়ার, ইয়র্কার বা ওয়াইড ইয়র্কার; এসব দিকে যাব। যেহেতু এখানে কাটারটা বেশি কার্যকরি, তাই এটা চেষ্টা করছি। পরের ম্যাচগুলোয় যদি উইকেট বদলে যায়, তখন ব্যাক অব লেন্থে জোরে বল করার চেষ্টা করব। আমাদের বোলিং কোচ বা হেড কোচ যখন যে পরিকল্পনা দেয়, আমরা সেভাবেই বল করার চেষ্টা করি।’

স্পিনিং উইকেট হওয়ায় পেসাররা কিভাবে সুবিধা পাচ্ছেন, বোঝাতে গিয়ে এই অলরাউন্ডার যোগ করেন, ‘মিরপুর আমাদের চেনা কন্ডিশন। ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ ম্যাচই আমি এখানে খেলেছি। স্পিন উইকেট হওয়াতে আমাদের পেস বোলারদের জন্য সুবিধা হচ্ছে, কারণ কাটার ধরছিল। স্পিনের বিপক্ষে রান না পাওয়ায় ওরা আমাদের (পেসার) বিপক্ষে সুযোগ নিতে চেয়েছিল। এ কারণে আমরা উইকেট নিতে পেরেছি।’

এমন উইকেটে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ড গুটিয়ে যায় মাত্র ৬০ রানে। বাংলাদেশ পায় ৭ উইকেটের সহজ জয়। তবে এই রান তাড়া করতেও ১৫ ওভার পর্যন্ত খেলতে হয়েছে টাইগারদের। উইকেট নিয়ে তাই সমালোচনাটা রয়েই গেছে।

যদিও সাইফউদ্দিন মনে করছেন, উইকেট নিয়ে আলোচনার চেয়ে জয় পাওয়াটাই বড় ব্যাপার। তার ভাষায়, ‘যখন ম্যাচ জিতি, তখন শুধু আমরা নই, পুরো দেশাবাসীই খুশি হয়। দিনশেষে আসলে সবাই বাংলাদেশের জয়টাই দেখতে চায়।’

‘হয়তো কন্ডিশন একটু ভিন্ন বা কম রান হচ্ছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট হিসেবে। কিন্তু আমরা প্রত্যেকটা ম্যাচ জেতার জন্যই খেলি। সেটা ১৯০ রান তাড়া করেই হোক কিংবা ১০০ বা ৯০। আমাদের কাছে জয়টাই মুখ্য’-যোগ করেন তরুণ এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!