করোনাভাইরাসের থাবায় স্থগিত থাকা হকির এএইচএফ অনূর্ধ্ব-২১ ওয়ার্ল্ড কোয়ালিফাইং শুরু হতে পারে আগামী বছরের শুরুর দিকে। এ উপলক্ষে ঈদ-উল-আযহার পর ক্যাম্প শুরু করতে চাইছে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন। মাঠে ফিরতে উন্মুখ হয়ে আছেন তারকা খেলোয়াড় রাসেল মাহমুদ জিমি। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এই ফরোয়ার্ডের জন্য এবারের ঈদটা বিশেষ আনন্দের। কদিন আগেই প্রথমবারের মতো বাবা হয়েছেন এই তারকা খেলোয়াড়।
“প্রথম সন্তানের বাবা হয়েছি। মেয়ে ও তার আম্মা দুজনেই ভালো আছে। আমাদের জন্য দোয়া করবেন। এটা আমাদের জন্য স্পেশাল ঈদ।”
“মাঠে ফেরার ব্যাপারে সবাই আশাবাদী। আমিও আশাবাদী। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এখন যত দ্রুত স্বাভাবিক হয়, ততই আমাদের জন্য ভালো। ঈদের পরে যদি সবকিছু শুরু হয়, তাহলে ভালো। সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে যদি এয়ারফোর্সের ওখানে ক্যাম্প শুরু হয়, তাহলে খুবই ভালো।”
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ঘরে বসে থাকলেও ফিটনেস নিয়ে কাজ করার কথা জানালেন জিমি।
“সবাই নিজেদের মতো করে ফিটনেস ধরে রাখার চেষ্টা করছে। আমি করছি আমার মতো করে। খেলা না থাকলে ফিটনেস ধরে রাখা কঠিন। এ কারণে যতটুকু পারছি চেষ্টা করছি ফিটনেস ধরে রাখার।”
গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে ক্লাবগুলোতে সরকারের ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের পর থেকে হকির সাধারণ সম্পাদ মমিনুল হক সাঈদ ‘নিখোঁজ’ আছেন। ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন মোহাম্মদ ইউসুফ। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনিও জানালেন ঈদের পর ক্যাম্প শুরুর কথা।
“এএফসি অনূর্ধ্ব-২১ ওয়ার্ল্ড কোয়ালিফাইং গত জুনে হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সেটা স্থগিত হয়ে যায়। এই টুর্নামেন্টের জন্য ছেলেদের ছয় মাস অনুশীলন করিয়েছিলাম। করোনাভাইরাসের কারণে ওটাও বন্ধ করেছিলাম। ঈদের পর ৯ অগাস্টে পুনরায় ক্যাম্প শুরুর চিন্তা করেছি আমরা।”
“এয়ারফোর্সের বেইস ক্যাম্পে ওদের তত্ত্বাবধানে, শারীরিক দূরত্ব মেনে, করোনাভাইরাস টেস্ট করিয়ে সীমিত আকারে আমরা ক্যাম্প শুরু করতে চাই। বাহিনীর খেলোয়াড়রা কিন্তু ওখানে ফিটনেস নিয়ে কাজ করছে। ওদের ফিটনেস নিয়ে সমস্যা নেই। যারা এদের বাইরে আছে, তাদের নিয়ে পরবর্তী ক্যাম্প শুরু করব।”
এএফসি অনূর্ধ্ব-২১ ওয়ার্ল্ড কোয়ালিফাইং পুনরায় মাঠে গড়ানোর দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে ইউসুফ জানালেন, আগামী বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে পারে এ আসর।
খুলনা গেজেট/এএমআর