দেশের ক্রীড়াঙ্গনে ব্যর্থতার ভিড়ে সাফল্য আছে হাতেগোনা। আর সেসবের গর্বিত অংশীদার এ দেশের নারী ক্রীড়াবিদরা। রক্ষণশীল সমাজের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে এসে নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে একের পর এক সাফল্যের ইতিহাস রচনা করে চলেছেন নারীরা। অদম্য মেয়েদের সাফল্যে স্বগর্বে উড়ছে লাল-সবুজের পতাকা, সমৃদ্ধ হচ্ছে ক্রীড়াঙ্গনের ইতিহাস। নারী ক্রীড়াবিদদের এবার দেখা যাবে দেশের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে। আগামী ঈদ পর্বে অনুষ্ঠানটির একটি দেশাত্মবোধক গানে অংশ নিয়েছেন নারী ক্রীড়াবিদরা।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) হানিফ সংকেতের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বিষয়টি জানানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, আগামী ঈদ উপলক্ষে নির্মিত ইত্যাদির চমৎকার সব বিষয়ের মধ্যে একটি বিশেষ পর্ব হচ্ছে দেশাত্মবোধক গান। এবারের ঈদ ইত্যাদির ‘দেশের গানটি’তে কণ্ঠ দিয়েছেন আমাদের সংগীতের বিস্ময় সাবিনা ইয়াসমিন। আর ইত্যাদির আমন্ত্রণে এই গানের চিত্রায়নে সাবিনা ইয়াসমিনের সঙ্গে অংশ নিয়েছেন আমাদের ক্রীড়া জগতের গৌরব বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল এবং বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল।
ইত্যাদির অনুষ্ঠানে ক্রীড়াবিদদের যুক্ত করা প্রসঙ্গে বলা হয়, এই নারী ক্রীড়াবিদদের অনেকেই মফস্বল ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী থেকে এসে কঠোর লড়াই-সংগ্রাম করে নিজেদের অবস্থান তৈরি করেছেন। সামাজিক ও পারিপার্শ্বিক বৈরিতাসহ নানান প্রতিকূলতাকে জয় করে দেশের জন্য বয়ে এনেছেন অনেক বিরল সম্মান।
আরও বলা হয়, খেলোয়াড়দের সবাই অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে গানটির ধারণ কাজে সহযোগিতা করেছেন। শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে কয়েক হাজার দর্শকের স্বতঃস্ফূর্ত করতালির মধ্য দিয়ে গানটি ধারণ করা হয়। খেলোয়াড়দের দেখে পুরো স্টেডিয়াম জুড়ে দর্শকরা ‘বাংলাদেশ-বাংলাদেশ’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে।
‘পতাকার লাল সুর্যটা মাগো, প্রতিটি হৃদয়ে জ্বেলে দাও’ শিরোনামে গানটির কথা লিখেছেন খ্যাতিমান গীতিকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন তরুণ সুরকার আকাশ মাহমুদ।
খুলনা গেজেট/এমএম