নির্ধারিত সময় শেষ হয়েছে ৩০ এপ্রিল। ফিফার বাঁশিতে ১ মে ‘এক্সট্রা টাইমে’ গড়িয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ। ফিফার বাড়িয়ে দেয়ায় সময়টা পুরোপুরি উপভোগ করছেন বাফুফে কর্মকর্তারা। নির্বাচন নিয়ে তাদের কোনো হেলদোল নেই। নতুন কমিটি নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান কমিটি দায়িত্ব চালিয়ে যেতে পারবে- বিশ্ব ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা ফিফার এ সনদ পাওয়ায় কবে নির্বাচন হবে তা অনিশ্চিত। তাহলে কি নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘসূত্রিতা করছে বাফুফে? এমন অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। অনেকের যুক্তি যে করোনাভাইরাসের কারণে সবকিছু বন্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার সেই করনাভাইরাস আগের চেয়ে বাড়লেও সবকিছু আবার খুলে দেয়া শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকায় গণপরিবহন চলছে, গার্মেন্টস চলছে, জাতীয় সংসদের দুটি উপনির্বাচনও হয়ে গেলো। রাস্তাঘাটে আগের মতো যানজট।
তাহলে বাফুফের যে নির্বাচনে সর্বোচ্চ ২০০ মানুষের সংশ্লিষ্টতা সে নির্বাচন করতে বাধা কোথায়? অনেকের অভিমত ‘নির্বাচন বন্ধ করো’ বলে কাজী সালাউদ্দিন বিরোধীরা যে দাবি তুলেছিলেন সেটা এখন শাপেবর হয়েছে বর্তমান কমিটির কর্মকর্তাদের জন্য। কারো কারো ধারণা- ‘নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়নি বলে’ দায়িত্বকাল লম্বা করার কৌশলও নিতে পারে বর্তমান কমিটি। বর্তমান কমিটির যারা আগামীতে নির্বাচন করবেন না বা কোনো পক্ষের প্যানেলেই জায়গা পাওয়ার সম্ভাবনা কমা তারাই সহসা নির্বাচন না করার পক্ষে ‘হাওয়া’ দিচ্ছেন।
তবে বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘসূত্রিতা করা হচ্ছে বলে যে অভিযোগ উঠছে তা মানতে রাজি নন, ‘দায়িত্ব দীর্ঘায়িত করার কোনো উদ্দেশ্য আমাদের নেই। আমরা তো নির্ধারিত সময়ের আগেই ভোটের তারিখ ঠিক করেছিলাম। স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছি সবার দাবি আর পরিস্থিতির কারণে। পরিস্থিতি অনুকূলে আসলেই দ্রুত নির্বাচন দিয়ে নতুন কমিটিকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া আমাদের লক্ষ্য।’
তাহলে কবে নাগাদ হতে পারে নির্বাচন? সালাম মুর্শেদীর উত্তর, ‘নির্বাচনের আগে কয়েক ধাপ প্রক্রিয়া আছে। যার প্রধান হলো নির্বাহী কমিটির সভা ডেকে নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া। কয়েকদিন পরই ঈদ। কোরবানির ঈদের পর করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কী হয় তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করবে। জাতীয় সংসদের উপনির্বাচন আর বাফুফের নির্বাচন কিন্তু এক নয়। জাতীয় নির্বাচনে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে। আর বাফুফের নির্বাচন নিয়ে ফিফা-এএফসি চাইলে সময় বাড়িয়ে দিতে পারে।’
তাহলে কি নির্বাচন নিয়ে আপনাদের কোনো ভাবনা নেই? ‘তা আছে। আমরা ঈদের কয়েকদিন পর বাফুফের নির্বাহী কমিটির সভা ডাকব। সে সভা ভার্চুয়াল নয়, ফিজিক্যালি হবে। কারণ গুরুত্বপূর্ণ সভা সামনাসামনি বসে করাই ভালো। ঈদের পর করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি কী হয় তা দেখে এবং সরকারের অনুমতি নিয়ে আমরা নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।’
খুলনা গেজেট/এএমআর