নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় বেড়েছে মুরগির দাম। নগরীতে গত এক সপ্তাহ ধরে দুই ধরণের মুরগির দাম বেশ চড়া। ঈদুল ফিতরকে টার্গেট করে মুরগির এ দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে সাধারণ ক্রেতারা অভিযোগ করেছেন।
নগরীর কয়েকটি বাজার ঘুরে জানা গেছে, প্রতি কেজি ব্রয়লার ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে কর্ক ২০০ টাকা, সোনালি ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পিছিয়ে নেই সাদা লেয়ার ও লালা মুরগির দাম। এটিও যথাক্রমে বিক্রি হচ্ছে ২২০ ও ২৫০ টাকায়। থেমে নেই দেশি মুরগিরও দাম। এটি এখন প্রতি কেজি ৪৩০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ব্রয়লার প্রতি কেজি ১২০ টাকা, কর্ক ১৭০ টাকা, সোনালি ১৯০ টাকা, সাদা লেয়ার ১৯০ টাকা ও লাল মুরগি ২২০ টাকা। আর দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৩৮০ টাকয় বিক্রি হয়েছে।
খুলনার জোড়াকল বাজারের মুরগি বিক্রেতা সেলিম শেখ জানান, সাধারণত শীত মৌসুমে মুরগির উৎপাদন কমে যায়। তখন মুরগির দামও চড়া থাকে। তাছাড়া বর্তমানে মুরগির খাবারের দামও বেড়েছে। ঈদের দুই একদিন আগে আবারও এক দফা বাড়তে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন।
অপরদিকে সান্ধ্য বাজারের মুরগি বিক্রেতা মানিক এ প্রতিবেদককে জানান, বাজারে সব ধরনের মুরগির দাম বেড়েছে। দেশি মুরগির দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি তেমন একটা পাওয়া যায় না। তাদের বেশি দরে ক্রয় করে এটি বিক্রয় করতে হয়। ঈদের আগে ও পরে মুরগির দাম বাড়বে। কারণ হিসেবে বিয়ে ও অনুষ্ঠানের কথা উল্লেখ করেছেন।
শহিদুল ইসলাম নামে ক্রেতা জানান, বর্তমানে লকডাউন চলছে, মানুষের আয় বাড়েনি। তাই তিনি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য মূল্য যাতে বাড়তে না পারে সেজন্য বাজার মনিটরিংয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
খুলনা গেজেট/এনএম