ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বাংলাদেশ রেলওয়ে ৭ এপ্রিল থেকে ট্রেনে ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করছে। এ বছর ঈদযাত্রার ৫ দিনের অগ্রিম টিকিটের শতভাগ বিক্রি হবে অনলাইনে। এ যাত্রার কোনো টিকিট মিলবে না রেলওয়ে স্টেশনগুলোর কাউন্টারে।
আগামী ১ এপ্রিল থেকে ১০ দিন আগের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে। এর আগে ৫ দিন আগের অগ্রিম টিকিট দেয়া হতো।
রেল ভবনে বুধবার দুপুরে ঈদুল ফিতরের টিকিট ব্যবস্থা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
তিনি জানান, এবারের ঈদে বিভিন্ন রুটে ৯ জোড়া আন্তনগর ট্রেন চালানো হবে। পরবর্তী সময়ে আরও একটি ট্রেন বাড়ানো হতে পারে। এবার যাতে কালোবাজারি না হয়, সে জন্য রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কোনো টিকিট দেয়া হচ্ছে না। ঈদযাত্রায় যাতে রেলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন না হয়, সে জন্য এবার ঈদুল ফিতরের সব অগ্রিম টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে।
কোন দিন কত তারিখের টিকিট
মন্ত্রী জানান, আগামী ৭ এপ্রিল দেয়া হবে ১৭ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট। ৮ এপ্রিল দেয়া হবে ১৮ এপ্রিলের টিকিট। ৯ এপ্রিল দেয়া হবে ১৯ এপ্রিলের টিকিট। ১০ এপ্রিল দেয়া হবে ২০ এপ্রিলের টিকিট। ১১ এপ্রিল দেয়া হবে ২১ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট।
এদিকে ঈদযাত্রার ট্রেনের ফিরতি টিকিট দেয়া শুরু হবে ১৫ এপ্রিল থেকে। সেই হিসাবে আগামী ১৫ এপ্রিল দেয়া হবে ২৫ এপ্রিলের টিকিট। এরপর ১৬ এপ্রিল ২৬ এপ্রিলের টিকিট, ১৭ এপ্রিল ২৭ এপ্রিলের, ১৮ এপ্রিল ২৮ এপ্রিলের এবং ১৯ এপ্রিল দেয়া হবে ২৯ এপ্রিলের টিকিট।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আন্তদেশীয় মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন ১৮-২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। আন্তদেশীয় মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন ২০-২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। আন্তদেশীয় বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন যথারীতি চলাচল করবে।
এদিকে ঈদুল ফিতরের দিন বিশেষ ব্যবস্থাপনায় কিছু মেইল এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে, তবে কোনো আন্তনগর ট্রেন চলাচল করবে না।
২০ এপ্রিল রাত ১২টার পর থেকে ২২ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কনটেইনার ও জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন ছাড়া অন্যান্য সব পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হবে।
বিনা টিকিটের যাত্রী প্রতিরোধে ব্যবস্থা
বিনা টিকিটের যাত্রী প্রতিরোধে ঢাকা, বিমানবন্দর, জয়দেবপুর, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা ও সব গন্তব্য স্টেশনসহ সব বড় বড় স্টেশনে জিআরপি, আরএনবি, বিজিবি ও স্থানীয় পুলিশ এবং র্যাবের সহযোগিতায় টিকিটবিহীন যাত্রী স্টেশনে প্রবেশের প্রতিরোধে সার্বক্ষণিক প্রহরার ব্যবস্থা করা হবে। তা ছাড়া জেলা প্রশাসকদের সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।
চলন্ত ট্রেন, স্টেশন বা রেললাইনে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে আরএনবি, জিআরপি ও রেলওয়ে কর্মচারীদের কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে। এ ছাড়া র্যাব, বিজিবি, স্থানীয় পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্রিয় সহযোগিতায় নাশকতাকারীদের কঠোরভাবে দমন করা হবে।
ঈদযাত্রার শুরুর দিন ১৭ এপ্রিল থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ঢাকাগামী একতা, দ্রুতযান, পঞ্চগড়, নীলসাগর, কুড়িগ্রাম, লালমনি ও রংপুর এক্সপ্রেসের ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে যাত্রা বিরতি থাকবে না।
খুলনা গেজেট/এনএম