বাংলাদেশ ডাক বিভাগের সেবার মানোন্নয়নে একাধিক যুগোপযোগী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তি ও সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের মাধ্যমে দেশের ডাক ও পার্সেল ডেলিভারি ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে পোস্টম্যান বা রানারদের দ্রুত ও সময় সাশ্রয়ী সেবা নিশ্চিত করতে ইলেকট্রিক বাইক (ই-বাইক) বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়েও ভাবা হচ্ছে।
রোববার (১৩ এপ্রিল) ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফাইজ তাইয়েব আহমেদ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ওই বার্তায় তিনি জানান, ডাক বিভাগের কর্মদক্ষতা ও পরিষেবার মান বাড়াতে বেশকিছু উদ্যোগ বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এরমধ্যে পোস্টম্যান বা রানারদের দ্রুত ও সময় সাশ্রয়ী সেবা নিশ্চিত করতে ইলেকট্রিক বাইক (ই-বাইক) বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এতে করে শহর থেকে গ্রামীণ অঞ্চল পর্যন্ত চিঠিপত্র ও পার্সেল পৌঁছাতে সময় কমবে এবং কর্মীদের কষ্টও কমে আসবে। একইসাথে পোস্টাল ঠিকানার ডিজিটালাইজেশন ও জিও লোকেশন ম্যাপিং করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ডাক বিভাগের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন বেসরকারি কুরিয়ার ও পার্সেল সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আম পরিবহনে নেওয়া হবে বিশেষ উদ্যোগ
ফাইজ তাইয়েব আহমেদ আরও জানিয়েছেন, আসন্ন আম মৌসুমকে কেন্দ্র করে দেশের কৃষকদের উৎপাদিত আম দ্রুত ও নিরাপদে ভোক্তার কাছে পৌঁছাতে ডাক বিভাগের সেবা ব্যবহারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে ডাক বিভাগকে কিভাবে কাজে লাগানো যায় তার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/জেএম