সোমবার (২৮ মার্চ) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সত্যেন্দ্রনাথ বসু একাডেমিক ভবনের ইউআরপি ল্যাবে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) উদ্যোগে শিক্ষক/কর্মকর্তাদের ই-নথি বিষয়ক প্রশিক্ষণ (চতুর্থ ধাপ) শেষে সনদপত্র বিতরণ করা হয়েছে।
বিকাল সাড়ে ৩টায় প্রধান অতিথি হিসেবে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছেন। তাঁর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদের কাজ করে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশে ই-নথি প্রচলনের ধারণা দিয়েছেন। তার সেই ধারণা ও পরামর্শে ই-নথি প্রচলনে কাজ শুরু হয়েছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এ পর্যন্ত ৮৩ জন কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ই-নথি বিষয়ে যারা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, তারা এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যদের শেখাবেন। তাদের হাত ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ই-নথি ব্যবহার ছড়িয়ে পড়বে, দক্ষ জনশক্তি তৈরি হবে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় পেপারলেস বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবে। উপ-উপাচার্য বলেন, ই-নথির সুবিধা ব্যবহার করতে পারলে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। কাজে আরও গতিশীলতা সৃষ্টি হবে। তিনি এ উদ্যোগ গ্রহণের জন্য উপাচার্যকে ধন্যবাদ জানান।
আইকিউএসির পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস। ই-নথি বিষয়ে ব্রিফ করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের আইএমসিটির উপ-পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মনির উল্লাহ ও প্রোগ্রামার/সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার দিজেন্দ্র চন্দ্র দাশ। প্রশিক্ষণার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন সহকারী-রেজিস্ট্রার মো. আতিয়ার রহমান এবং সেকশন অফিসার মিসেস শামিমা খাতুন।
চতুর্থ ধাপের প্রশিক্ষণে ২৩ জনসহ ৪টি ধাপে মোট ৮৩ জন শিক্ষক/কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তারা মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে কর্মচারীদের ই-নথি বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেবেন। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাধিক সংখ্যক প্রশিক্ষণার্থী ই-নথি বিষয়ক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
খুলনা গেজেট/এএ