ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের প্রতারণায় অভিযুক্ত বনানী থানার পরিদর্শক সোহেল রানার ভারতে সাজা হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দেয়া হয়েছে। সোহেল রানা পশ্চিমবঙ্গের আলীপুরে প্রেসিডেন্সি সংশোধানাগারে আছে।
এর আগে ই-কমার্স ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানাকে ভারত-নেপাল সীমান্ত এলাকা থেকে ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বিএসএফ সূত্রের বরাত দিয়ে তখন খবরে বলা হয়, সীমান্ত টপকে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত থেকে এক বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে বিএসএফ। তার কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বিদেশি পাসপোর্ট, একাধিক মোবাইল ও এটিএম কার্ড। পরে তাকে মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, আটক ব্যক্তি বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের বাসিন্দা শেখ সোহেল রানা। তিনি ঢাকায় বাংলাদেশ মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মকরত। সে দেশে তার নামে অপরাধমূলক একাধিক কাজের অভিযোগ রয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছেন বিএসএফের কর্মকর্তারা। গা ঢাকা দেওয়ার লক্ষ্যে ভারতে প্রবেশ করে সোহেল রানা।
বনানী থানা সূত্রে জানা গেছে, গ্রাহকের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে ই-অরেঞ্জ প্রতিষ্ঠানটি। বনানী থানার পুলিশ পরিদর্শক শেখ সোহেল রানার বোন ও ভগ্নিপতি চালাতেন প্রতিষ্ঠানটি। এই অভিযোগে সোহেল রানার বোন, ভগ্নিপতিসহ পাঁচজনকে প্রতিষ্ঠানটির মালিক উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় প্রতারণার মামলা করেছেন এক ভুক্তভোগী।
পুলিশও বলেছে, ই–অরেঞ্জের মূল মালিক পুলিশ কর্মকর্তা সোহেল রানার বোন সোনিয়া মেহজাবিন, ভগ্নিপতি মাসুকুর রহমান ও আমানউল্লাহ নামের এক ব্যক্তি। ২০২১ সালে মামলার পর এই তিনজন কারাগারে ছিল।
ই–অরেঞ্জ প্রতিষ্ঠানটি মোটরসাইকেল, মুঠোফোনসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী অনলাইনে বিক্রি করত। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের পণ্য কেনার জন্য টাকা দেন গ্রাহকেরা। একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের পর ই–অরেঞ্জ কোম্পানির পণ্য সরবরাহ করার কথা ছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি পণ্যও দিচ্ছে না, টাকাও ফেরত পায়নি গ্রাহকেরা।
খুলনা গেজেট/কেডি