প্রায় এক হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিনসহ তিনজনকে পাঁচ দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া আজ সোমবার এই আদেশ দেন।
রিমান্ডে নেওয়া অন্য আসামিরা হলেন সোনিয়া মেহজাবিনের স্বামী মাসুকুর রহমান ও চিফ অপারেটিং অফিসার আমান উল্যাহ। আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মোহাম্মদ আলমগীর হোসাইন এসব তথ্য জানিয়েছেন
আলমগীর হোসাইন জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম গত বৃহস্পতিবার তিন আসামিকে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক আজ সোমবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত বুধবার সন্ধ্যায় আমান উল্যাহকে গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে ২৪টি ক্রেডিট কার্ড, ১৬ লাখ টাকা ও গাড়ি জব্দ করা হয়। তার আগে গ্রেপ্তান হন সোনিয়া মেহজাবিন ও তাঁর স্বামী মাসুকুর রহমান।
নথি থেকে জানা গেছে, গত ১৭ আগস্ট গুলশান থানায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন মো. তাহেরুল ইসলাম নামের এক গ্রাহক। তিনি ই-অরেঞ্জের প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন।
এজাহারে বলা হয়েছে, বাদী গত ২১ এপ্রিল পণ্য কেনার জন্য ই-অরেঞ্জে অগ্রিম টাকা দেন। তবে ই-অরেঞ্জ নির্ধারিত তারিখে পণ্য সরবরাহ করেনি। টাকাও ফেরত দেয়নি। নিজেদের ফেসবুক পেজে বার বার নোটিশ দিয়েছে। কিন্তু তারা পণ্য ও টাকা দেয়নি। সর্বশেষ বাদীকে গুলশান-১ এর ১৩৬/১৩৭ নম্বর রোডের ৫/এ নম্বর ভবনে অবস্থিত অফিস থেকে পণ্য ডেলিভারির কথা বললেও ই-অরেঞ্জ ডেলিভারি দেয়নি।
খুলনা গেজেট/এনএম