জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন খুলনা আয়োজিত এবং বসুন্ধরা গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু সিনিয়র ডিভিশন ফুটবল লীগে জয় পেয়েছে ইয়ং রেডসান ক্লাব ও উল্কা ক্লাব।
রবিবার (১৪ আগস্ট) খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে দু’টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর আড়াইটায় দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় টাউন ক্লাব বনাম ইয়ং রেডসান ক্লাব। খেলায় ইয়ং রেডসান ক্লাব ২-০ গোলে টাউন ক্লাবকে পরাজিত করে। অপর দিকে বিকেল সোয়া ৪টায় দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে উল্কা ক্লাব বনাম সাবেক খেলোয়াড় সংঘ। খেলায় ২-০ গোলে উল্কা ক্লাব পরাজিত করে সাবেক খেলোয়াড় সংঘকে।
দিনের প্রথম খেলায় মাঠে নামার আগে উভয় দলের ছিল এটি ছিল ৬ষ্ঠ ম্যাচ। সেখানে রেডসানের ছিল ৩ জয় ও এক ড্র নিয়ে ১০ পয়েন্ট। পক্ষান্তরে টাউনের ছিল ৩ পরাজয় ও ৩ ড্র নিয়ে ৩ পয়েন্ট। শক্তির দিক থেকে অনেক এগিয়ে থেকে মাঠে নামে রেডসান। শুরুতেই টাউন এলোমেলা খেলা শুরু করে। আর এ সুযোগে রেডসান আক্রমণের গতি বাড়িয়ে দেয়। খেলার ১২ মিনিটের মাথায় রেডসানের ৯নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় কামরুল গোল করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যায় (১-০)। গোল হজম করে সমতার আশায় আক্রমণ শুরু করে টাউন। তবে রেডসানের শক্ত রক্ষণভাগ ভেদ করতে পারেনি টাউন ক্লাবের স্টাইকাররা। পিছিয়ে থেকে বিরতীতে যায় টাউন। বিরতী থেকে ফিরে উভয় দলই আক্রমন-পাল্টা আক্রমন করতে থাকে। সে সময় খেলা চলে মধ্য মাঠে। বৃষ্টির কারণে মাঠ ভারী হওয়ায় খেলোয়াড়রা বল বারের কাছে আনতে ব্যর্থ হয়। এরপরও টাউন ক্লাব গোল পরিশোধের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। ৬৫ মিনিটের সময় রেডসানের ১৬নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় রতন গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করে (২-০)। খেলাটি পরিচালনা করেন মোশাররফ হোসেন, তকদির হোসেন, আজিবর রহমান ও বাশির আহমেদ লালু। ম্যাচ কমিশনার ছিলেন মোশারফ হোসেন।
বিকেল সোয়া ৪টায় দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে সাবেক খেলোয়াড় সংঘ তাদের আগের ম্যাচগুলোর ছন্দ হারিয়ে ফেলে। দিঘলিয়া ও মৌসুমীর সঙ্গে জয় এবং শক্তিশালী শেখ কামাল স্মৃতি সংসদ ও ডুমুরিয়া তরুন সংঘের সাথে ড্র’র দিনে যে খেলা দর্শকদের উপহার দিয়ে ছিল তার কোন অংশ চোখে পড়েনি এদিন। মাঠে নামার আগে সাবেক খেলোয়াড় সংঘের এটি ছিল শেষ খেলা। অপরদিকে উল্কার এটি ৫ম খেলা। তাদের খেলা বাকি আছে মৌসুমি একাদশের সঙ্গে। ৫ খেলায় ২ জয় ও ২ পরাজয় নিয়ে ৮ পয়েন্ট। শুরুতেই উভয় দল গোছানো ফুটবল শুরু করে। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের মধ্যে দিয়ে চলতে থাকে খেলা। খেলা দেখে মনে হয় দল দুটি’র শক্তি সমানে সমান। কিন্তু খেলার ৩২ মিনিটের সময় উল্কার ২নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় রাজ্জাক গোল করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যায় (১-০)। গোল হজম করে পরিশোধের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে সাবেক খেলোয়াড় সংঘ। একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে তারা। তবে উল্কার রক্ষণভাগ ভাঙ্গতে ব্যর্থ হয়। এক গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতীতে যায় তারা।
বিরতী থেকে ফিরে আক্রমণ শুরু করে সাবেক খেলোয়াড় সংঘ। কিন্তু গোল মিসের ব্যর্থতা থেকে বের হতে পারেনি উভয় দল। উভয় দল যেভাবে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ করতে থাকে, তাতে মনে হয় যে কোন সময় যে কোন দল এগিয়ে যেতে পারে। আর সেটাই হয়েছে। ৬৫ মিনিটের সময় উল্কার ১৫নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় অয়ন গোল করে দলকে ২-০ তে পরিণত করেন। গোল হজম করে পরিশোধের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে সাবেক খেলোয়াড় সংঘ। একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে তারা। তবে গোল মিসের কারণে পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে হয় সাবেক খেলোয়াড় সংঘকে। তাদের ৬ খেলায় ২ জয় ও ২ পরাজয় নিয়ে ৮ পয়েন্ট। খেলাটি পরিচালনা করেন রেফারী আব্দুর রহমান ঢালী, আলী আকবর, সুমন রাজু ও তৌহিদ হোসেন। ম্যাচ কমিশনার ছিলেন আমানত আলী হালদার। খেলা দু’টির মনোমুগদ্ধকর ধারাভাষ্য ছিলেন এডভোকেট এম এম সাজ্জাদ আলী ও এডভোকেট প্রজেশ রায়।
মাঠে উপস্থিত ছিলেন জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. ইউসুফ আলী, কার্যনির্বাহী সদস্য ও লীগ কমিটির সম্পাদক সুজন আহমেদ ও সদস্য ও লীগ কমিটির সহ-সম্পাদক মনিরুজ্জামান মহসীন। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে খেলা বন্ধ থাকবে। ১৬ আগস্ট মঙ্গলবার জেলা স্টেডিয়ামে দু’টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। দিনের প্রথম ম্যাচে দুুপুর আড়াইটায় মুখোমুখি হবে দিঘলিয়া ওয়াইএমএ বনাম মৌসুমী একাদশ। বিকেল সোয়া ৪টায় দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করবে ব্রাদার্স ইউনিয়ন এবং বলাকা স্পোটিং ক্লাব।