জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন খুলনা আয়োজিত এবং বসুন্ধরা গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু সিনিয়র ডিভিশন ফুটবল লীগে জয় পেয়েছে ইয়ং রেডসান ক্লাব ও উইনার্স ক্লাব।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) দুপুর আড়াইটায় দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় মহেশ্বরপাশা ক্লাব বনাম ইয়ং রেডসান ক্লাব। খেলায় ইয়ং রেডসান ক্লাব ৫-১ গোলে মহেশ্বরপাশা ক্লাবকে পরাজিত করে। অপর দিকে বিকেল সোয়া ৪টায় দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও উইনার্স ক্লাব। খেলায় ৫-০ গোলে উইনার্স ক্লাব পরাজিত করে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে।
দিনের প্রথম খেলায় মাঠে নামার আগে উভয় দলের ছিল তৃতীয় ম্যাচ। সেখানে মহেশ্বরপাশার ছিল এক জয় ও এক ড্র নিয়ে ৪ পয়েন্ট। পক্ষান্তরে ইয়ং রেডসানের ছিল দু’টি পরাজয়। শক্তির দিক থেকে অনেক এগিয়ে থেকে মাঠে নামে মহেশ্বরপাশা। কিন্তু ফল হলো উল্টো। ১-৫ গোলের পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো মহেশ্বরপাশা ক্লাবকে। ফলে তৃতীয় ম্যাচে এসে জয়ের দেখা পেল ইয়ং রেডসান ক্লাব। শুরুতেই মহেশ্বরপাশা এলোমেলা খেলা শুরু করে। আর এ সুযোগে রেডসান আক্রমনের গতি বাড়িয়ে দেয়। খেলার ১০ মিনিটের মাথায় রেডসানের ৯নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় কামরুল গোল করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যায় (১-০)। গোল হজম করে সমতার আশায় আক্রমন শুরু করে মহেশ্বরপাশা। ২১ মিনিটের সময় ৯নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় মুন্না গোল করে খেলায় সমতা আনে (১-১)। এসময় বল পজিশন সমান হয়। উভয় দল জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে আক্রমন করতে থাকে। ৩৪ মিনিটের সময় রেডসানের ১০নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় সোহাগ গোল করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যায় (২-১)। পিছিয়ে থেকে বিরতীতে যায় মহেশ্বরপাশা। বিরতী থেকে ফিরে উভয় দলই আক্রমন-পাল্টা আক্রমন করতে থাকে। তাতে ফল পায় রেডসান। ৪৩ মিনিটের সময় আবারও কামরুল গোল করে দলের স্কোর (৩-১) করে। পিছিয়ে পড়ে দুর্বল হয়ে যায় মহেশ্বরপাশা। এরপর মাঠে আর দাঁড়াতে পারেনি তারা। ৬৭ মিনিটের সময় ১৩নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় তানবীর দলের গোল সংখ্যা বাড়ায় (৪-১)। ৭০ মিনিটের সময় সোহাগ আবারও গোল করে দলের বড় জয় নিশ্চিত করে (৫-১)। খেলাটি পরিচালনা করেন রেফারী কামাল আহমেদ, জসিম উদ্দিন, তৌহিদ হোসেন ও আকিব জাভেদ। ম্যাচ কমিশনার ছিলেন নৃপেন রায়।
বিকেল সোয়া ৪টায় দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়ন তাদের আগের ম্যাচগুলোর ছন্দ হারিয়ে ফেলে। আবাহনীকে হারিয়ে এবং মোহামেডানের বিরুদ্ধে শেষ মিনিটের পরাজয় হওয়া ব্রাদার্স যেন অচেনা হয়ে পড়ে দর্শকদের কাছে। মাঠে নামার আগে উভয় দলের ছিল ৪র্থ ম্যাচ। সেখানে উইনার্সের ছিল ৩ জয়ে ৯ পয়েন্ট। পক্ষান্তরে ব্রাদার্সের ছিল এক জয় ও দু’টি পরাজয়। শক্তির দিক থেকে অনেক এগিয়ে থেকে মাঠে নামে উইনার্স। বিরতীর আগেই ৩ গোল হজম করে ব্রাদার্স। খেলার ৩৮, ৪০ ও ৪১ মিনিটে গোল ৩টি হয়। হুদা, সাব্বির ও আকাশ গোল ৩টি করেন। বিরতী থেকে ফিরে আবারও আক্রমন শুরু করে উইনার্স। কিন্তু ৩ গোলে পিছিয়ে থেকে বেশ দুর্বল হয়ে পড়ে ব্রাদার্স। আর এ সুযোগে ৫৩ মিনিটের সময় দলের ১০নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় আকাশ আবারও গোল করে দলের সংখ্যা বাড়ায় (৪-০)। এর দু’মিনিট পর দলের ৯নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় হামিদ গোল করে দলের বড় জয় নিশ্চিত করে (৫-০)। খেলাটি পরিচালনা করেন রেফারী মাহবুবুর রহমান, আলী আকবর, নাজমুল ইসলাম ও পলাশ বিশ্বাস। ম্যাচ কমিশনার ছিলেন এহসানুল হক। খেলা দু’টির ধারাভাষ্য ছিলেন এডভোকেট এম এম সাজ্জাদ আলী ও এডভোকেট প্রজেশ রায়।
মাঠে উপস্থিত ছিলেন জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. ইউসুফ আলী, কার্যনির্বাহী সদস্য ও লীগ কমিটির সম্পাদক সুজন আহমেদ ও সদস্য ও লীগ কমিটির সহ-সম্পাদক মনিরুজ্জামান মহসীন। ৫ আগস্ট শুক্রবার জেলা স্টেডিয়ামে একটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। বিকেল পৌনে ৪টায় দিনের একমাত্র ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে এসবিআলী ফুটবল একাডেমি ও দিঘলিয়া ওয়াইএমএ ক্লাব।
খুলনা গেজেট / আ হ আ