হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ইসলাম প্রশ্নে কারও সঙ্গে আপোষ করবো না। প্রয়োজনে আবারও রাজপথে নামবো, লংমার্চ করবো, জীবন দেবো। তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতার জন্য নয়, মানুষের ঈমানের জন্য সংগ্রাম করি। মুসলমানদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করিনি বলে আমাদের জেল জরিমানা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে যশোর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ যশোর জেলা শাখা আয়োজিত শানে রেসালাত সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান।
মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ১৯৭১ সালে বিজয়কে ছিনতাই করা হয়েছিল। ১৬ ডিসেম্বরের কয়েক মাস পরেই অন্য একটি দেশের সংবিধান এদেশে চাপিয়ে দেয়া হয়। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে দ্বিতীয়বার দেশ স্বাধীনতা পেয়েছে। এই দেশ নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না। সেন্টমার্টিন থেকে শুরু করে পুরো দেশ রক্ত দিয়ে অর্জন করা। ২০২৪ সালের বিজয় যেন কেউ ছিনতাই করতে না পারে।
তিনি বলেন, পালিয়ে গিয়েও ওরা অন্য দেশে বসে বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। শেখ হাসিনা সরকার শাপলা চত্বরে গণহত্যা চালিয়েছিল, লাশ গুম করেছিল, ২০২১ সালে নরেন্দ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদ করায় পাখির মতো গুলি করে ২৫ জনকে হত্যা করেছিল। ওই বছরেই দু’হাজার নেতাকর্মীকে জেলখানায় বন্দি করেছিল। বাংলাদেশ জাহেলি যুগে প্রবেশ করেছিল। এই বর্বরতার সবচেয়ে নিষ্ঠুর শিকার হেফাজতে ইসলাম।
তিনি আরো বলেন, শাপলা চত্বরে গণহত্যা মামলায় শেখ হাসিনা, ওবাইদুল কাদের, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদসহ সকল অপরাধীর বিচার করতে হবে। শিক্ষাখাতে সর্বস্তরে ইসলাম শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থায় নাস্তিকবাদ স্থাপন করার সুযোগ দেয়া হবে না।
সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও যশোর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আনোয়ারুল করিমের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির আল্লামা মাহফুজুল হক, যশোর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নাজির উদ্দীন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির সাখাওয়াত হোসাইন, খুলনা জেলা শাখার সেক্রেটারি মাওলানা মুফতি গোলাম রহমান, কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মুফতি আব্দুল হামিদ, ঢাকা ডেমরা থানার সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি রিজওয়ান রফিকী, জেলা সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা আব্দুল মান্নান, সহসভাপতি মুফতি মুজিবুর রহমান, হাফেজ মাওলানা বেলায়েত হোসেন, মাওলানা হামিদুল ইসলাম প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/ টিএ