যেকোনো মূল্যবান জিনিস হেফাজত করা, লুকিয়ে রাখা মানুষের স্বভাবধর্ম। সোনাদানা, টাকা-পয়সা মূল্যবান বস্তু, তাই মানুষ এসব লুকিয়ে রাখে। একজন নারীর কাছে তার সম্ভ্রম ও সম্মান পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস। এই মূল্যবান জিনিস নিরাপদ রাখার জন্য মহান আল্লাহ নারী-পুরুষ সকলের ওপর পর্দার বিধান ফরজ করেছেন।
কোরআন ও হাদিসে পর্দার বিধান বিশদভাবে বর্ণিত হয়েছে। মহান আল্লাহ এরশাদ করেন, ‘মুমিনদের বলো, তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। (সুরা আন-নূর : ৩০) এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা পুরুষদের দৃষ্টি অবনত রাখার আদেশ দিয়েছেন।
অপর আয়াতে এরশাদ হচ্ছে, ‘আর মুমিন নারীদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত রাখে ও তাদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে; তারা যেন যা সাধারণত প্রকাশ থাকে, তা ব্যতীত তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে।’ (সুরা আন-নূর : ৩১) এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা নারীদের দৃষ্টি অবনত রাখার আদেশ দিয়েছেন।
আরেক আয়াতে এরশাদ হচ্ছে, ‘আর তোমরা নিজ গৃহে অবস্থান করবে এবং প্রাচীন যুগের মতো (পর-পুরুষকে) সাজসজ্জা প্রদর্শন করে বেড়াবে না।’ (সুরা আহজাব : ৩৩)
এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা নারীদের ঘরে অবস্থান করার নির্দেশ দিয়েছেন। এবং বাইরে পরপুরুষের সামনে সৌন্দর্য প্রকাশ করতে বারণ করেছেন।
একান্ত প্রয়োজনে বাহিরে বের হতে হলে নিজেকে যেন ভালোভাবে পর্দায় আবৃত করে নেয়। ইরশাদ হচ্ছে, ‘হে নবী, আপনি আপনার স্ত্রীদের ও কন্যাদের এবং মুমিন নারীদের বলুন, তারা যেন তাদের চাদর নিজেদের (মুখের) ওপর নামিয়ে দেয়। এ পন্থায় তাদের চেনা সহজতর হবে, ফলে তাদের উত্যক্ত করা হবে না।’ (আল-আহজাব : ৫৯)
এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মহিলারা হচ্ছে আবরণীয় বস্তু। সে বাহিরে বের হলে শয়তান তার দিকে চোখ তুলে তাকায়।’ (তিরমিজি) অর্থাৎ নারীর দিকে কুদৃষ্টি দেওয়ার জন্য শয়তান লোকদের প্ররোচিত করে।
লেখক : শিক্ষক, জামেয়া মাদানিয়া, সেনবাগ, নোয়াখালী।