লেবাননে ১২টি বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ১০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। মূলত হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালায় দখলদার বাহিনী। এখন এর প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।
গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরই ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানায় হিজবুল্লাহ। এরপর থেকেই ইসরায়েলি বাহিনী ও হিজবুল্লাহর মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটছে।
সম্প্রতি লিতানি নদীর দক্ষিণাঞ্চলে হিজবুল্লাহর অবকাঠামোতে হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। সেখান থেকে হিজবুল্লাহ বাহিনীকে সরিয়ে দিতে চায় ইসরায়েল। কিন্ত তা অস্বীকার করে ইসরায়েলি অবস্থানে অব্যাহত হামলার কথা জানিয়ে আসছে সশস্ত্র সংগঠনটি।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলের হামলায় ১০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়, যা লেবাননের মাটিতে ইসরায়েলের হামলায় একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এর জবাবে দ্রুত ও কঠোর হামলার হুমকি দিয়েছে হিজবুল্লাহ।
এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা কোনো ধরনের কার্যকারিতা ছাড়াই শেষ হয়েছে। এর আগে মিশরের কায়রোতে কয়েকটি দেশ আলোচনায় অংশ নেয়। এদিকে রাফায় অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করছে বিভিন্ন দেশ।
তাছাড়া ইসরায়েলের হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৮ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ৬৮ হাজারের বেশি। একই সঙ্গে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।
সূত্র: আল-জাজিরা
খুলনা গেজেট/এএজে