চলমান ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে কাতার, মালয়েশিয়া, জর্ডান ও কুয়েত সরকারপ্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ান।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘কংক্রিট অ্যাকশন’ নিতে এ উদ্যোগ নিয়েছেন এরদোয়ান।
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামিদ আল থানির সঙ্গে ফোনকলে যুক্ত হন তিনি। এ সময় তিনি দু’দেশের আঞ্চলিক গুরুত্ব ও প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন।
অন্যদিকে মালয়েশিয়ার রাজা আব্দুল্লাহ সুলতান আহমেদ শাহকে ঐক্যের কথা বলেন। সে সময় তিনি অত্যাচারের শিকার ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
এরদোয়ান বিশ্বাস করেন যে তুরস্ক, মালয়েশিয়া ও কাতার একনিষ্ঠ হলে জাতিসংঘ, ওআইসির মতো প্লাটফর্মে জোরাল অবস্থান নেওয়া সম্ভব।
তুর্কি প্রধান কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় ইসরায়েলের আক্রমণাত্মক মনোভাবের শেষ দেখতে যান। সোমবার (১০ মে) তিনি জর্ডান ও কুয়েত নেতাদেরও কল করেছিলেন।
একইদিনে তিনি ইসরায়েলের সহিংসতা জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের টেবিলে উত্থাপন করার কথা জানিয়েছেন।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী ও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। সোমবার থেকে মঙ্গলবার (১১ মে) পর্যন্ত ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালিয়েছে হামাস। এতে দুই ইসরায়েলির নিহতের খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি।
অন্যদিকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ১০ শিশুসহ অন্তত ২৮ জন নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ১৬ জনই হামাসের সামরিক বাহিনীর সদস্য বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।
পূর্ব জেরুজালেমের শেখ জাররাহ এলাকা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের চেষ্টা এবং পবিত্র আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলি তাণ্ডবের প্রতিবাদে এসব হামলা চালানো হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/কেএম