আন্তর্জাতিক জলসীমায় গাজায় মানবিক ত্রাণ বহনকারী জাহাজ ম্যাডলিনকে আটক করায় ইসরাইলকে ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ বলে অভিযুক্ত করেছে তুরস্ক সরকার।
দুই তুর্কি নাগরিকসহ সোমবার ভোরে ১২ অ্যাক্টিভিস্টকে বহনকারী জাহাজটিকে জব্দ করে ফিলিস্তিনি ছিটমহলে পৌঁছাতে বাধা দেয় ইসরাইল।
মিডল ইস্ট আইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্কের কর্মকর্তারা এ ঘটনাকে ‘আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে বর্ণনা করেছেন। ইসরাইলি সরকার সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং নৌ-পরিবহনের স্বাধীনতা উভয়কেই বিপন্ন করছে বলে আঙ্কারা অভিযোগ করেছে।
তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নেতানিয়াহু সরকারের এ জঘন্য হামলা নৌপরিবহনের স্বাধীনতা এবং নিরাপত্তা উভয়কেই হুমকির মুখে ফেলেছে। এটা আবারও প্রমাণ করেছে যে ইসরাইল একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র।’
ইসরাইলি কর্মকর্তারা জানান, গাজা উপত্যকার অবরোধ ভাঙার লক্ষ্যে দাতব্য জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ ইসরাইলি বাহিনী নেয় এবং গ্রেটা থুনবার্গসহ এর ক্রুদের আটক করে।
গাজাগামী তুর্কি নাগরিকদের বহনকারী ত্রাণ জাহাজ ইসরাইলি বাধার মুখোমুখি হওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। ২০১০ সালে মানবিক ত্রাণ পরিবহনকারী গাজাগামী একটি ফ্লোটিলায় অভিযান চালিয়ে ১০ জন তুর্কি নাগরিককে হত্যা করে ইসরাইল।
এ ঘটনা তুরস্ক-ইসরাইল সম্পর্কের ক্ষেত্রে বড় সংকটের সৃষ্টি করে, যা বেশ কয়েক বছর স্থায়ী হয়। পরে ইসরাইল ক্ষমা চায় এবং ২০১৩ সালে মার্কিন মধ্যস্থতায় একটি চুক্তিতে ক্ষতিপূরণ দিতে সম্মত হয় তেল আবিব।
খুলনা গেজেট/এমএম