ঢাকাই চলচ্চিত্রের এক সময়ের পরিচিত মুখ ইলিয়াস কোবরা। মার্শাল আর্ট-নির্ভর সিনেমায় খল চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা লাভ করেন। ১৯৮৭ সালে সোহেল রানা পরিচালিত ‘মারুক শাহ’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তার আত্মপ্রকাশ। এরপর প্রায় সাড়ে পাঁচ শ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
তবে এখন আর চলচ্চিত্রে তেমন ডাক পান না ইলিয়াস কোবরা। আর ডাক পেলেও পছন্দ না হওয়ায় সে কাজগুলো করেন না। যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্র থেকে দূরে রয়েছেন। এসব সংকটের কারণে বাধ্য হয়ে কৃষি কাজে মনোনিবেশ করেছেন ইলিয়াস কোবরা। টেকনাফের বাহারছড়ায় গ্রামের বাড়িতে বাগান পরিচর্যাসহ বিভিন্ন কৃষি কাজ করে সময় কাটাচ্ছেন এ খল-অভিনেতা।
কৃষি কাজে যুক্ত হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে ইলিয়াস কোবরা বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে সিনেমা নির্মাণ কমে গেছে। সিনেমা না থাকায় এরইমধ্যে অনেক সিনেমা হলও বন্ধ হয়ে গেছে। এখন তো সিনেমাই নির্মাণ হচ্ছে না। কাজ কমে যাওয়ায় সিনেমার জন্য এখন খুব বেশি ডাক আসে না। তার মধ্যে করোনার কারণে পুরো একবছর সিনেমার কাজ নেই। তাই অনেকটা বাধ্য হয়ে বাহারছড়ায় পেপের বাগান পরিচর্যা করছি। বলতে পারেন কৃষি কাজ করছি।’
অভিনয়ে নিয়মিত হওয়ার পরিকল্পনা জানিয়ে ইলিয়াস কোবরা বলেন, ‘সিনেমার পরিবেশ স্বাভাবিক হলে এবং আমি যেমন কাজে অভ্যস্ত সে ধরণের কাজের প্রস্তাব পেলে কাজে ফিরব।’
চলচ্চিত্রে অভিনয়ের আগে ইলিয়াস কোবরা একটি মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালনা করতেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো—‘কঠিন সীমার’, ‘মাস্তানের উপর মাস্তান’, ‘মেজর সাহেব’, ‘চেয়ারম্যান’, ‘লণ্ড ভণ্ড’, ‘মরণ কামড়’, ‘মগের মুল্লুক’, ‘ম্যাডাম ফুলি’, ‘ভন্ড’, ‘শান্ত কেন মাস্তান’, ‘ঘৃণা’ প্রভৃতি।
খুলনা গেজেট/কেএম