হিজাব ছাড়া বিক্ষোভে অংশ নেয়া এক ইরানি তরুণীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। হাদিস নাজাফি নামে ২০ বছরের ওই তরুণী গত সপ্তাহে খোলা চুলে সাহসিকতার সঙ্গে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন।
বিক্ষোভকালে ধারণ করা একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। এরপরই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই এ খবর দিয়েছে। সঠিকভাবে হিজাব না পরায় গত ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশি হেফাজতে মাহসা আমিনি নামে ২২ বছরের এক তরুণীর মৃত্যুর ঘটনায় ইরানজুড়ে বিক্ষোভ চলছে।
মেডিকেল প্রতিবেদনমতে, মাহসার মাথায় অনেকগুলো আঘাত করা হয়। ওই আঘাতের কারণে তিনি কোমায় চলে যান। তবে পুলিশের দাবি, তিনি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন।
হিজাবকাণ্ডে শুরু হওয়া বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চলা বিক্ষোভ দমনে চালানো নিরাপত্তাবাহিনীর ব্যাপক অভিযানে অন্তত ৭৬ জন নিহত হয়েছেন। গত সপ্তাহে বিক্ষোভ যখন তুমুল রূপ ধারণ করে, তখন হিজাব ছাড়াই চুল খুলে বেশ সাহসিকতার সঙ্গেই বিক্ষোভে যোগ দেন হাদিস নাজাফি।
বিক্ষোভকালে ধারণ করা তার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, বিক্ষোভে অংশ নেয়ার আগে নিজের চুল বেঁধে নিচ্ছেন তিনি। এজন্য দ্রুতই ‘পনিটেইল গার্ল’ বলে পরিচিত পান হাদিস। অন্য অনেক ইরানি নারী যারা সাহসের সঙ্গে প্রতিবাদ করার জন্য চুল খুলে পুলিশ অফিসারদের মুখোমুখি হয়েছিলেন, তাদেরই একজন হাদিস।
একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে আল আরাবিয়া জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন হাদিস নাজাফি। ইরানের সাংবাদিক ফারজাদ সেইফিকারান জানিয়েছেন, হাদিস নাজাফির গলা ও মুখে কয়েকটি গুলির চিহ্ন রয়েছে।
হাদিসের দাফনের একটি ভিডিওও ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, সদ্য খনন করা কবরের পাশে তার ছবি নিয়ে কাঁদছে কিছু মানুষ। সেই ভিডিও টুইট করেছেন মাসিহ আলিনেজাদ নামে ইরানের এক সাংবাদিক ও অধিকারকর্মী।