ইয়েমেনের রাস ইসা তেল বন্দরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) মার্কিন বিমান হামলায় কমপক্ষে ৩৮ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরো ১০২ জন। এই হামলাকে ইয়েমেনে মার্কিন বাহিনীর সবচেয়ে ভয়াবহ হামলাগুলোর মধ্যে একটি বলে মনে করা হচ্ছে।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) বলেছে, হাউছিদের তহবিল বন্ধ ও সম্পদ ধ্বংস করার জন্যই এই বিমান হামলা চালানো হয়েছিল।
সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বার্তায় বলেছে, ‘এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল হাউছিদের ক্ষমতার অর্থনৈতিক উৎসকে হ্রাস করা।’
এদিকে হাউছি কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসের আল-আতিফি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘মার্কিন শত্রুর অপরাধ ইয়েমেনি জনগণকে গাজাকে সমর্থন করা থেকে বিরত রাখতে পারবে না বরং তাদের দৃঢ়তাকে আরো শক্তিশালী করবে।’
হাউছিদের দেয়া নিহতের সংখ্যা সম্পর্কে মন্তব্যের অনুরোধে পেন্টাগন সাড়া দেয়নি।
জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে হাউছি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান শুরু করে। মার্চ মাসে দুই দিনের মার্কিন হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল বলে হাউছি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ওয়াশিংটন হাউছিদের সতর্ক করে দিয়েছে, লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচলের ওপর আক্রমণ বন্ধ না করা পর্যন্ত তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
গত বছরের নভেম্বর থেকে হাউছিরা ইসরাইলের সাথে সংশ্লিষ্ট জাহাজের ওপর ১০০টিরও বেশি আক্রমণ চালিয়েছে বলে জানা গেছে। তারা বলেছে, এটি গাজার ওপর ইসরাইলের যুদ্ধের প্রতিবাদ।
খুলনা গেজেট/এনএম