পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রধান ইমরান খানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রি সংক্রান্ত তোষাখানা মামলাকে অগ্রহণযোগ্য বলে ঘোষণা করেছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। দেশটির নির্বাচন কমিশন কর্তৃক দায়ের করা বিচারিক আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইমরান খানের পিটিশন দায়েরের পর ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আমির ফারুক এই রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে এই মামলায় ইমরান খানকে তলব করা হয়েছিল। রাষ্ট্রীয় সব উপহারের রেকর্ড সরবরাহ করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছিল। তোশাখানা থেকে ইমরান খান ১০৮টি উপহার পেয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
ইমরান খানের বিরুদ্ধে গত বছর তোশাখানা মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল। নির্বাচন কমিশনের অভিযোগ- ইমরান খান বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপহার বিক্রি করার পর যে তহবিল পেয়েছেন তা ঘোষণা করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
এছাড়া এনসিএ কেলেঙ্কারির মামলায় ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবিকেও তলব করেছিল।
এদিকে ইমরান খান অভিযোগ করেছেন যে, পাকিস্তান সরকার তাঁকে কারাগারে রাখার জন্য ‘একটি পরিকল্পনা করেছে’। তার দাবি, তাঁকে গ্রেপ্তার ও জেলে পাঠানো সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিত ছিল। দুর্নীতির মামলায় তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগও তিনি অস্বীকার করেছেন।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা একটি ভান্ডার যেখানে বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে পাওয়া উপহার রাখা হয়।
ক্রিকেট থেকে রাজনীতিতে আসা ইমরান খান ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট পাকিস্তানের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। গত বছরের এপ্রিলে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের মুখে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন। এতে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন) ক্ষমতায় ফেরে। আর দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই শাহবাজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী হন। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর নানা সংকটের ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন ইমরান।
গত আগস্টে তোষাখানার চারটি উপহার বিক্রির অভিযোগে ইমরান খানের বিরুদ্ধে মামলা হয়। পাকিস্তানে তোষাখানা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণাধীন বিভাগ। সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিরা বিদেশ থেকে যেসব মূল্যবান উপহার পান, এটি সেগুলো সংরক্ষণ করে। তোষাখানার নিয়ম অনুযায়ী, কেউ উপহার পেলে তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জানাতে হবে।
খুলনা গেজেট/এসজেড