আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টে সায় নেই ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে বিরোধী নেতাদের তিনি জানিয়ে দিয়েছেন এ কথা। অন্য দিকে ট্রাম্পও জানিয়েছেন এই প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন নন তিনি। ইমপিচমেন্ট নিয়ে ডেমোক্র্যাটদের নেতৃত্বাধীন হাউসের প্রতিনিধিরা ২৫তম অ্যামেন্ডমেন্টে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের উপর যখন চাপ বাড়াচ্ছেন তখনই এ হেন প্রতিক্রিয়া ট্রাম্পের।
টেক্সাসে অভিবাসন নীতি, মেক্সিকোর দেওয়াল নিয়ে কথা বলার সময় ইমপিচমেন্টের বিষয়টি তুলেছিলেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি দাবি করেছেন, “২৫তম অ্যামেডমেন্টে আমার কোনও ঝুঁকি নেই।” শুধু তাই নয়, ইমপিচমেন্ট নিয়ে বাইডেন প্রশাসনকে কার্যত সতর্কও করেছেন তিনি। বলেছেন, “ইমপিচমেন্টের গুজব দেশের ইতিহাসে বিদ্বেষপূর্ণ ডাইনি খোঁজার ব্যাধি। অধিকাংশ লোকই এটা বুঝবে না। এটা আমেরিকার পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষ করে এই সময়ে।’’
ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট চান না পেন্সও। তিনি হাউসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিকে লিখেছেন, ‘‘প্রেসিডেন্টের মেয়াদের আর ৮ দিন বাকি। এখন আপনারা দাবি করছেন ক্যাবিনেট এবং আমি ২৫তম অ্যামেন্টমেন্টকে স্বাগত জানাই। আমার মনে হয় না এই পদক্ষেপ জাতির পক্ষে লাভজনক হবে।’’
নতুন বছরের শুরুতেই আমেরিকার ক্যাপিটলে হামলা চালায় ট্রাম্প সমর্থকরা। আমেরিকার জনপ্রতিনিধিদের কাজ করার অফিস ভাঙচুরের ঘটনার নিন্দা করেছে সারা বিশ্ব। সমালোচিত হয়েছেন ট্রাম্পও। তার পরই আমেরিকার নীতিনির্ধারকদের অভ্যন্তরে ট্রাম্পকে ইমপিচ করার দাবি ওঠে। সেই নিয়ে এখন জল্পনা তুঙ্গে। এই অবস্থাতেই ২০ জানুয়ারি আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেবেন জো বাইডেন।
খুলনা গেজেট/এনএম