খুলনা, বাংলাদেশ | ১৩ পৌষ, ১৪৩১ | ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  কুড়িগ্রামে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, যুবদল নেতা নিহত

মেডিকেল ভাঙচুর ও র‍্যাগিং, ইবির ছয় শিক্ষার্থী বহিষ্কার

ইবি প্রতিনিধি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) চিকিৎসা কেন্দ্র ভাংচুরের ঘটনায় এক শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া র‍্যাগিংয়ের অভিযোগে আরও পাঁচ শিক্ষার্থীকে ১ম বর্ষের ২য় সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

গত ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ছাত্র-শৃঙখলা কমিটির ১২তম সভায় অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় এনে গঠিত কমিটির সুপারিশের আলোকে এই সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। বুধবার ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মেডিকেল ভাঙচুরের ঘটনায় স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্য আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এছাড়া র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হিশাম নাজির শুভ, মিজানুর রহমান ইমন, শাহরিয়ার পুলক, শেখ সালাউদ্দিন সাকিব ও সাদমান সাকিব।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে, গত ৯ সেপ্টেম্বর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তাহমিন ওসমানকে র‍্যাগিং ও মানসিকভাবে নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে একই বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। বিষয়টি তদন্তে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া গত ৫ নভেম্বর অভিযুক্তদের এ বিষয়ে মৌখিক শুনানীও গ্রহণ করা হয়।

এছাড়া গত ১০ জুলাই আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রেজোয়ান সিদ্দিক কাব্য, সালমান আজিজ ও আতিক আরমানের বিরুদ্ধে মেডিকেল সেন্টারে ভাঙচুর, কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অ্যাম্বুলেন্স চালকের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ ওঠে। এরপর মেডিকেল সেন্টার কর্তৃপক্ষ ও ভুক্তভোগীরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ। তবে কাব্যের সাথে অন্য দুই শিক্ষার্থী সালমান আজিজ ও আতিক আরমান থাকলেও সরাসরি সংশ্লিষ্ট না থাকায় তাদের সতর্ক করা হয়।

এ বিষয়ে এন্টি র‌্যাগিং ভিজিল্যান্স কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, ‘র‍্যাগিংয়ের সাথে জড়িতদের কোন ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। মহামান্য হাইকোর্ট থেকেও এ নির্দেশনা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের প্রতি আমার আহ্বান এ ধরনের ঘটনায় জড়িত হয়ে যাতে তাদের মূল্যবান জীবন নষ্ট না করে এবং বাবা-মায়ের স্বপ্ন ভঙ্গ না করে।’

খুলনা গেজেট/ টিএ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!